মালদা, 25 এপ্রিল: কালিয়াচক থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরীর মৃতদেহের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে 5টা নাগাদ কালিয়াচকের রামনগর এলাকা থেকে বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আগামিকাল 14দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হবে।
মঙ্গলবার রাত আটটায় জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, "মৃতদেহ সনাক্ত করার পর পরিবারের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলে দু'জনকে সন্দেহ করা হয়। এরপরেই মালদা, ইংরেজবাজার, গাজোল ও কালিয়াচক থানা নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। সেই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কালিয়াচক এসডিপিও। এরপরেই সন্দেহজনক দুই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে আটক করা হয়। দু'জনের মধ্যে একজন সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে নেয়। অভিযুক্তের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (29) ৷"
পুলিশ সুপার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে প্রায় 9দিন আগে ফোনের মাধ্যমে ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্তের যোগাযোগ হয়। গতকাল তারা দেখা করার পরিকল্পনা নেয়। সন্ধেয় ওই কিশোরী মহদিপুরে যায়। সেখান থেকে অভিযুক্ত ওই কিশোরীকে ঘটনাস্থলের দিকে নিয়ে যায় ৷ সেখানে দু'জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। তারপরে ওই কিশোরী অভিযুক্তকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু অভিযুক্ত বিবাহিত। তার দুই সন্তানও রয়েছে। বিয়ের কথা শুনে অভিযুক্ত ভয় পেয়ে যায়। সে বারবার ওই কিশোরীকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু ওই কিশোরী তাতে রাজি হয়নি, সে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: অতীত থেকে শিক্ষা, কালিয়াচকের ঘটনায় তড়িঘড়ি পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের
পুলিশ সুপারের কথায়, এরপর রাত এগারোটা-বারোটা নাগাদ আতঙ্কে অভিযুক্ত ওই কিশোরীর ওড়না নিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর সেখানেই কিশোরীর মৃতদেহ ফেলে অভিযুক্ত বাড়ি চলে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত ভারতীয় সংবিধানের 302, 201 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার ৷