মালদা, 30 ডিসেম্বর: জনবহুল রাজ্য সড়কে গুলি করে এক ব্যক্তিকে খুন (A Man Shot Dead on State Highway in Malda) ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের শেরশাহী বাজার সংলগ্ন গোলাপগঞ্জ রাজ্য সড়ক সংলগ্ন এলাকায় (Shootout at Kaliachak) ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে ৷ এদিকে, ঘটনার জেরে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা ৷
মৃত ব্যক্তির নাম সোহেল শেখ (32)। বাড়ি শেরশাহীর কোম্পানিটোলা এলাকায় ৷ সোহেল ভিন রাজ্যে শ্রমিক পাঠানোর পাশাপাশি সুদের ব্যবসা করতেন ৷ তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে ৷ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল কাজ শেষে শেরশাহী থেকে স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন সোহেল ৷ গোলাপগঞ্জ রাজ্য সড়ক সংলগ্ন এলাকায় কেউ বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি সোহেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
খবর পেয়ে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ স্থানীদের একাংশের অনুমান, ভিনরাজ্য শ্রমিক পাঠানো কিংবা সুদের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত গোলমালের জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন সোহেল শেখ ৷ অন্যদিকে, সোহেলের পরিবারের লোকজন রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত বলে জানা গিয়েছে ৷ তবে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা, তা এখনও বলতে পারছে না পুলিশ ৷
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল শেখ বলেন, "যিনি খুন হয়েছেন তিনি এই এলাকার বাসিন্দা ৷ যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটাও আমাদেরই এলাকার মধ্যে পড়ে ৷ আমি শুনতে পাই, গতকাল সন্ধ্যায় শেরশাহী বাজার থেকে স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন সোহেল ৷ সেখানে পরিকল্পনা মাফিক গুলি করে খুন করা হয়েছে সোহেলকে ৷ উনি ব্যবসায়ী ছিলেন ৷ টাকা-পয়সার কারণে ওকে খুন করা হতে পারে ৷ পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, দ্রুত দোষীকে গ্রেফতার করা হোক ৷"
আরও পড়ুন: ভর সন্ধ্যায় গুলি করে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীকে খুন
ওই ব্যক্তি স্থানীয় আইন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থা তলানিতে ঠেকেছে ৷ গোলাপগঞ্জ রোডে প্রায়শই ছিনতাইয়ের ঘটনা সামনে আসে ৷ এটা পুলিশ প্রশাসনেরও জানা ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ৷ অসামাজিক কার্যকলাপ রুখতে ওই এলাকায় কড়া পুলিশ নজরদারির দাবি রাখছি ৷ এই ঘটনায় যদি দোষীকে দ্রুত গ্রেফতার না করা হয়, তবে আমরা সমস্ত গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব ৷’’
জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই বলা সম্ভব হবে, গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা ৷ এই ঘটনায় এখনও পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷