কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: খাস কলকাতায় আবারও রহস্যজনক মৃত্যু । নিজের ঘর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার ৷ মৃতের নাম আঞ্জুয়ারা খাতুন মোল্লা ৷ বয়স 40 বছর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে খিদিরপুর সাউথ পোর্ট থানা এলাকার ডক ইস্ট বাউন্ডারি রোডে ৷ মহিলার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । গৃহবধূকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ৷
সূত্রের খবর, 20 বছর হল আঞ্জুয়ারার বিয়ে হয়েছে ৷ কিন্তু বিয়ের কুড়ি বছর ধরেই স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্ক ভালো ছিল না। বনিবনা হত না তাঁদের ৷ ফলে নিত্যদিন ঝামেলা লেগেই থাকত দম্পতির ৷ সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে শেষে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল দম্পতির ৷ আঞ্জুয়ারা সেই মামলা জিতেও গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে । জানা গিয়েছে, এরপরেও মাঝেমধ্যেই রাতে আঞ্জুয়ারার বাড়িতে যেতেন তাঁর স্বামী। কখনও দরজা খুলতেন আবার কখনও বা দরজা খুলতেন না আঞ্জুয়ারা।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শনিবারও রাতেও আঞ্জুয়ারার কাছে এসেছিলেন তাঁর স্বামী । প্রত্যেকদিনের মতো রবিবার সকালবেলা এই অঞ্চলে জলের গাড়ি আসে ৷ কিন্তু আঞ্জুয়ারা এদিন জল নিতে না-বেরনোয় পাড়া-প্রতিবেশীরা আঞ্জুয়ারাকে ডাকতে যান ৷ তবে তিনি দরজা না-খোলায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয় ৷ এরপর তারা দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখে ,কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়ে রয়েছেন আঞ্জুয়ারা । তাঁরা পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷
ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ করে আঞ্জুয়ারাকে হত্যা করা হয়েছে ৷ তাঁর স্বামী তাঁকে খুন করেছেন বলে অনুমান ৷ দেহটি ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, আঞ্জুয়ারা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর স্বামী । তাই পুলিশের সন্দেহর তির আঞ্জুয়ারা স্বামীর দিকেই ।
আরও পড়ুন: