ETV Bharat / state

ছেলের স্নেহে শ্বশুরবাড়ির সকলকে খুনের পরিকল্পনা অমিতের? উত্তর খুঁজছে পুলিশ - bengaluru murder

স্ত্রী ও শাশুড়িকে কেন খুন করলেন অমিত আগরওয়াল ? শ্বশুরকেও কি খুনের পরিকল্পনা ছিল ? সন্তানের জন্য কি খুন ? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ।

image
image
author img

By

Published : Jun 23, 2020, 11:21 AM IST

কলকাতা, 23 জুন : বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করেন অমিত আগরওয়াল । তারপর ছেলেকে সঙ্গে নেন । ছেলেকে নিয়ে আসেন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর । নিয়ে আসেন কলকাতায় । ফ্লাইটের টিকিট বুক করাই ছিল । এ যেন নিখুঁত চিত্রনাট্য ।

অপরাধের কোনও রেকর্ড ছিল না । পুলিশ জেনেছে, ভদ্র পরিবারের আর পাঁচজনের মতই ছিলেন অমিত আগরওয়াল । থাকতেন উত্তরপাড়ায় । স্ত্রী শিল্পা আগরওয়ালের সঙ্গে বিবাহিত জীবন চলছিল ভালো-মন্দে । বছর তিনেক আগে হঠাৎই ছন্দপতন । সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে স্ত্রীর সঙ্গে । বছর দুয়েক আগে ফাইল হয় ডিভোর্সের মামলা । অমিতের দাবি ছিল একটাই । ছেলেকে চাই । তা মানতে চাননি শিল্পা । ছেলেকে নিয়েই চলে যান বেঙ্গালুরু । অমিত বারবার অনুরোধ করেছেন শ্বশুরবাড়িতে । কিন্তু ছেলেকে ছাড়তে চাননি কেউ । অন্তত প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমন সব তথ্য । হয়তো বা সেই কারণেই অমিতের মধ্যে জেগে উঠে জিঘাংসা। তারপরই খুনের পরিকল্পনা। গত সন্ধ্যায় অমিত ফুলবাগান থানা এলাকার আর কে সমাধি রোডের রামেশ্বরম বিল্ডিংয়ের বি-ব্লকে শ্বশুরবাড়ির ফ্লাটে আসেন । স্ত্রী শিল্পার সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় শ্বশুর সুভাষ ধানধানিয়া এবং শাশুড়ি ললিতা ধানধানিয়ার সঙ্গে । চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় । অন্তত পুলিশকে তেমনই জানিয়েছেন 70 বছরের সুভাষ । এই সময় হঠাৎই অমিত পিস্তল বের করে খুব কাছ থেকে ললিতাকে গুলি করেন । খুবই ভয় পেয়ে যান সুভাষ । তিনি কোনওরকমে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে বাইরের দিকে বন্ধ করে দেন। দৌড়ে চলে যান প্রতিবেশীদের ফ্ল্যাটে। খবর দেন ফুলবাগান থানায় ।

এদিকে কর্মসূত্রে শিল্পা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন । পুলিশ জানতে পেরেছে গতবিকেলের উড়ানে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা এসেছেন অমিত । শিল্পার ঘরে উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ । ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর পুলিশ সক্রিয় হয়েছে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় । শিল্পার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে । পুলিশ মনে করছে বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করার পর বিমানে এসে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করতে চেয়েছিলেন অমিত । কিন্তু কোন আক্রোশ থেকে এই নৃশংস খুন? পুলিশ মনে করছে, এর পেছনে রয়েছে বড় কোনও রহস্য । প্রবল রাগ না থাকলে এ জিনিস হতে পারে না ।

পুলিশ জানতে পারে শিল্পা এবং অমিতের সন্তান রয়েছে । বেঙ্গালুরু পুলিশ খবর দেয়, সেখানে কোনও শিশু নেই । তবে কোথায় শিল্পা-অমিতের সন্তান? খোঁজ শুরু করে পুলিশ। CCTV ফুটেজে দেখা যায়, বিমানবন্দরে ছেলেকে নিয়েই নেমেছিলেন অমিত । জানা যায়, তিনি ছেলেকে রেখে এসেছেন দাদার বাড়িতে । বেশি রাতে কলকাতা পুলিশের দল সেখানে যায় । উদ্ধার করা হয় বছর নয়েকের ওই নাবালককে । পুলিশ সংবেদনশীলতার সঙ্গে তার থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করেছে বলে খবর । অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অমিতের পরিবারের লোকজনকে । পাশাপাশি সুভাষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

কলকাতা, 23 জুন : বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করেন অমিত আগরওয়াল । তারপর ছেলেকে সঙ্গে নেন । ছেলেকে নিয়ে আসেন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর । নিয়ে আসেন কলকাতায় । ফ্লাইটের টিকিট বুক করাই ছিল । এ যেন নিখুঁত চিত্রনাট্য ।

অপরাধের কোনও রেকর্ড ছিল না । পুলিশ জেনেছে, ভদ্র পরিবারের আর পাঁচজনের মতই ছিলেন অমিত আগরওয়াল । থাকতেন উত্তরপাড়ায় । স্ত্রী শিল্পা আগরওয়ালের সঙ্গে বিবাহিত জীবন চলছিল ভালো-মন্দে । বছর তিনেক আগে হঠাৎই ছন্দপতন । সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে স্ত্রীর সঙ্গে । বছর দুয়েক আগে ফাইল হয় ডিভোর্সের মামলা । অমিতের দাবি ছিল একটাই । ছেলেকে চাই । তা মানতে চাননি শিল্পা । ছেলেকে নিয়েই চলে যান বেঙ্গালুরু । অমিত বারবার অনুরোধ করেছেন শ্বশুরবাড়িতে । কিন্তু ছেলেকে ছাড়তে চাননি কেউ । অন্তত প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমন সব তথ্য । হয়তো বা সেই কারণেই অমিতের মধ্যে জেগে উঠে জিঘাংসা। তারপরই খুনের পরিকল্পনা। গত সন্ধ্যায় অমিত ফুলবাগান থানা এলাকার আর কে সমাধি রোডের রামেশ্বরম বিল্ডিংয়ের বি-ব্লকে শ্বশুরবাড়ির ফ্লাটে আসেন । স্ত্রী শিল্পার সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় শ্বশুর সুভাষ ধানধানিয়া এবং শাশুড়ি ললিতা ধানধানিয়ার সঙ্গে । চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় । অন্তত পুলিশকে তেমনই জানিয়েছেন 70 বছরের সুভাষ । এই সময় হঠাৎই অমিত পিস্তল বের করে খুব কাছ থেকে ললিতাকে গুলি করেন । খুবই ভয় পেয়ে যান সুভাষ । তিনি কোনওরকমে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে বাইরের দিকে বন্ধ করে দেন। দৌড়ে চলে যান প্রতিবেশীদের ফ্ল্যাটে। খবর দেন ফুলবাগান থানায় ।

এদিকে কর্মসূত্রে শিল্পা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন । পুলিশ জানতে পেরেছে গতবিকেলের উড়ানে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা এসেছেন অমিত । শিল্পার ঘরে উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ । ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর পুলিশ সক্রিয় হয়েছে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় । শিল্পার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে । পুলিশ মনে করছে বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করার পর বিমানে এসে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করতে চেয়েছিলেন অমিত । কিন্তু কোন আক্রোশ থেকে এই নৃশংস খুন? পুলিশ মনে করছে, এর পেছনে রয়েছে বড় কোনও রহস্য । প্রবল রাগ না থাকলে এ জিনিস হতে পারে না ।

পুলিশ জানতে পারে শিল্পা এবং অমিতের সন্তান রয়েছে । বেঙ্গালুরু পুলিশ খবর দেয়, সেখানে কোনও শিশু নেই । তবে কোথায় শিল্পা-অমিতের সন্তান? খোঁজ শুরু করে পুলিশ। CCTV ফুটেজে দেখা যায়, বিমানবন্দরে ছেলেকে নিয়েই নেমেছিলেন অমিত । জানা যায়, তিনি ছেলেকে রেখে এসেছেন দাদার বাড়িতে । বেশি রাতে কলকাতা পুলিশের দল সেখানে যায় । উদ্ধার করা হয় বছর নয়েকের ওই নাবালককে । পুলিশ সংবেদনশীলতার সঙ্গে তার থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করেছে বলে খবর । অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অমিতের পরিবারের লোকজনকে । পাশাপাশি সুভাষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.