কলকাতা, 17 জানুয়ারি: বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার (HC on Justice Mantha Incident) বেঞ্চ বয়কটের ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ নগরপালকে জানাতে হবে কারা, কোথা থেকে কার নির্দেশে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে লেখা পোস্টার ছাপিয়ে ছিল, তা আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta HC) তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ ।
পরবর্তী শুনানি 2 ফেব্রয়ারি: পাশাপাশি হাইকোর্ট চত্বরে এই পোস্টার কে বা কারা দিয়েছিলেন তাও জানতে চেয়েছে আদালত । লেক থানার ওসিকে যাবতীয় পোস্টার ও ওই সংক্রান্ত নথি নগরপালকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, রাজ্য বার অ্যাসোসিয়েশন-সহ মোট তিনটি সংগঠনকে নোটিশ দিয়ে মামলার যুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । 2 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।
সিসিটিভির ফুটেজ পেশ রেজিস্ট্রার জেনারেলের: এ দিন রেজিস্ট্রার জেনারেল 13 জানুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজ, স্টিল ছবি মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টকে দিয়েছেন । তাপস মাইতি নামে এক আইনজীবী রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছিলেন । বিচারপতিকে গালিগালাজ, কুকথা বলার জন্য মোট 12 জন আইনজীবীর নাম লিখিত ভাবে জানান তিনি । সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নামও জানান তিনি ।
বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে সিপিকে: এই ব্যাপারে সিপিকে জানাতে হবে কারা, কোথা থেকে কার নির্দেশে এমন লেখা পোস্টার ছাপিয়েছিল । একইসঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট-সহ এই বিষয়ে কোথাও কোন বিক্ষোভ অবস্থান করা যাবে না ও স্লোগান, ব্যানার দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ । আগামী 2 ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন কমিশনার । কে পোস্টার ছাপানোর বরাত দিয়েছিল ? কোন প্রিন্টিং প্রেস থেকে পোস্টার ছাপানো হয়েছিল ? কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছিল ? এই সবকিছুই জানাতে হবে আদালতকে ৷
আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ বয়কটের ঘটনার তথ্য অনুসন্ধানে শহরে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা
বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের শনাক্তকরণ: এ দিন মামলার শুনানির শুরুতেই রেজিস্ট্রার জেনারেল চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসকে ডেকে পাঠায় আদালত । বিচারপতি টিএস শিবাগননম জানতে চান, বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের শনাক্তকরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা । কীভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে ? রেজিস্ট্রার জেনারেল শনাক্তকরণ করতে পারবেন না । বার অ্যাসোসিয়েশন তো এগিয়ে এসে শনাক্ত করবে না !" তখন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্রাচার্য বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই সেটা করা সম্ভব ।
পুলিশের দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজ এবং বেশ কিছু ছবিও পেন ড্রাইভে করে আদালতে পেশ করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল । এই ফুটেজ খুলতে গেলে তথ্যপ্রমাণ আইন (evidence act) এবং তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী একটি শংসাপত্র প্রয়োজন হয় । এখানে সেটা পুলিশ দেয়নি বলে জানান বিচারপতি টিএস শিবাগননম । তবে তাপস মাইতি নামে এক আইনজীবী যে 12 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা 13 নম্বর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি । সেই তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে অবমাননার রুল জারি করা হচ্ছে না বলে জানায় আদালত ।