ETV Bharat / state

WB Ranks 2nd in Country: পরিবেশ রক্ষায় স্কুলের অংশগ্রহণের নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা - পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুল

পরিবেশ রক্ষায় স্কুলের অংশগ্রহণের নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা ৷ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চাইছে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোর অংশগ্রহণ দিল্লিকে পিছনে ফেলে প্রথম সারিতে উঠে আসুক । আর সে কারণে এ রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলোকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল গাছ লাগালে দুই হাজার টাকা করে ইনসেন্টিভের ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ।

Etv Bharat
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার (আইপিএস)
author img

By

Published : Aug 3, 2023, 5:44 PM IST

কলকাতা, 3 অগস্ট: সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের অন্তর্ভুক্ত পরিবেশ রক্ষায় 17টি টার্গেট দেওয়া আছে । কেন্দ্রীয় সরকারের 'মেরি লাইফ' পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে সেই 17 টি লক্ষ্য পূরণ করতে পরিবেশ রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকারি স্কুলগুলি । ইতিমধ্যে এই পোর্টালে নিজেদের কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তির নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ । প্রথম স্থানে রয়েছে দিল্লি । আর তারপরই আছে এ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলো । যারা সূর্যালোক বায়ু-জল থেকে শুরু করে বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় 59টি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে খবর ।

বৃহস্পতিবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের পোর্টালে নিজেদের কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তির নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ । রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চাইছে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোর অংশগ্রহণ দিল্লিকে পিছনে ফেলে প্রথম সারিতে উঠে আসুক । আর সে কারণে এ রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলোকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল গাছ লাগালে দুই হাজার টাকা করে ইনসেন্টিভের ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । ইলেকট্রিক বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং সেগুলোকে রিসাইকেলিং করার জন্য প্রত্যেকটি স্কুলকে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক বর্জর জন্য ডাস্টবিন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে । একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় যে সমস্ত পড়ুয়া এবং শিক্ষক সার্বিকভাবে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকেও নানা রকমভাবে পুরস্কৃত করা হবে বলেও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণের পর্ষদের কর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন ।

এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের আধিকারিকরা ৷ সেই বৈঠকেই মিশন লাইফ প্রোগ্রামের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও সূত্রের দাবি । ওই বৈঠকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র স্কুল শিক্ষকদের স্পষ্ট জানান, সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের উদ্যোগে স্কুল চত্বরেই 20 টির বেশি বিভিন্ন রকম ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হবে । সেই সমস্ত স্কুলগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে । তবে যে কোনও গাছ লাগালে হবে না । পর্ষদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন ধরনের গাছ লাগাতে হবে সেখানে নানা রকম পাখি আসবে । এলাকার বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে গাছ লাগানো বাঞ্ছনীয় । পরাগ মিলনের সুযোগও থাকতে হবে । এই ভরা মরসুমের মধ্যে অর্থাৎ আগামী তিন মাসের মধ্যে যে সমস্ত স্কুলগুলো এরকম নজির সৃষ্টি করতে পারবে তাদের দু'হাজার টাকা করে ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি ।

আরও পড়ুন: ট্রেনের চেন টানায় 6 মাসে আসানসোল ডিভিশনে গ্রেফতার 468, জরিমানা 2.62 লাখ

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার (আইপিএস) বলেন, "প্লাস্টিক দূষণ রোধে স্কুল পড়ুয়াদের সতর্ক করতে হবে । বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক বর্জ্যের পরিমাণ হু-হু করে বাড়ছে। সেই বর্জ্যগুলি ঠিক মতো রিসাইকেলিং না হলে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে । তাই স্কুলগুলোতে ইলেকট্রিক বর্জ্যের জন্য ডাস্টবিন দেওয়া হবে । পড়ুয়ারা বাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক বর্জ্যগুলোয় স্কুলের এই ডাস্টবিনে এসে ফেলবে । তারপরই ডাস্টবিন-সহ সেই বর্জ্যগুলো নির্দিষ্ট রিসাইক্লিং সেন্টারে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই ।" এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে অনেক শিক্ষকের তরফে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় । এ বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 3 অগস্ট: সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের অন্তর্ভুক্ত পরিবেশ রক্ষায় 17টি টার্গেট দেওয়া আছে । কেন্দ্রীয় সরকারের 'মেরি লাইফ' পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে সেই 17 টি লক্ষ্য পূরণ করতে পরিবেশ রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকারি স্কুলগুলি । ইতিমধ্যে এই পোর্টালে নিজেদের কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তির নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ । প্রথম স্থানে রয়েছে দিল্লি । আর তারপরই আছে এ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলো । যারা সূর্যালোক বায়ু-জল থেকে শুরু করে বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় 59টি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে খবর ।

বৃহস্পতিবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের পোর্টালে নিজেদের কর্মসূচি অন্তর্ভুক্তির নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ । রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চাইছে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোর অংশগ্রহণ দিল্লিকে পিছনে ফেলে প্রথম সারিতে উঠে আসুক । আর সে কারণে এ রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলোকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল গাছ লাগালে দুই হাজার টাকা করে ইনসেন্টিভের ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । ইলেকট্রিক বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং সেগুলোকে রিসাইকেলিং করার জন্য প্রত্যেকটি স্কুলকে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক বর্জর জন্য ডাস্টবিন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে । একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় যে সমস্ত পড়ুয়া এবং শিক্ষক সার্বিকভাবে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকেও নানা রকমভাবে পুরস্কৃত করা হবে বলেও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণের পর্ষদের কর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন ।

এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের আধিকারিকরা ৷ সেই বৈঠকেই মিশন লাইফ প্রোগ্রামের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও সূত্রের দাবি । ওই বৈঠকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র স্কুল শিক্ষকদের স্পষ্ট জানান, সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের উদ্যোগে স্কুল চত্বরেই 20 টির বেশি বিভিন্ন রকম ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হবে । সেই সমস্ত স্কুলগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে । তবে যে কোনও গাছ লাগালে হবে না । পর্ষদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন ধরনের গাছ লাগাতে হবে সেখানে নানা রকম পাখি আসবে । এলাকার বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে গাছ লাগানো বাঞ্ছনীয় । পরাগ মিলনের সুযোগও থাকতে হবে । এই ভরা মরসুমের মধ্যে অর্থাৎ আগামী তিন মাসের মধ্যে যে সমস্ত স্কুলগুলো এরকম নজির সৃষ্টি করতে পারবে তাদের দু'হাজার টাকা করে ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি ।

আরও পড়ুন: ট্রেনের চেন টানায় 6 মাসে আসানসোল ডিভিশনে গ্রেফতার 468, জরিমানা 2.62 লাখ

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার (আইপিএস) বলেন, "প্লাস্টিক দূষণ রোধে স্কুল পড়ুয়াদের সতর্ক করতে হবে । বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক বর্জ্যের পরিমাণ হু-হু করে বাড়ছে। সেই বর্জ্যগুলি ঠিক মতো রিসাইকেলিং না হলে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে । তাই স্কুলগুলোতে ইলেকট্রিক বর্জ্যের জন্য ডাস্টবিন দেওয়া হবে । পড়ুয়ারা বাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক বর্জ্যগুলোয় স্কুলের এই ডাস্টবিনে এসে ফেলবে । তারপরই ডাস্টবিন-সহ সেই বর্জ্যগুলো নির্দিষ্ট রিসাইক্লিং সেন্টারে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই ।" এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে অনেক শিক্ষকের তরফে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় । এ বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.