কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি : সংবিধান না মেনে হিংসা পাকানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র ৷ জাফরাবাদে চলতে থাকা অশান্তি নিয়ে একথাই বলছে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস শিবির ৷ গত দুদিন ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন 13 জন ৷ জখম হয়েছেন কমপক্ষে 130 জন ৷
কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ নিজেরাই হিংসার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন CPI(M) নেতা অশোক ভট্টাচার্য ৷ বলেন, "সারা দেশে যেখানে যেখানে BJP -র সরকার রয়েছে, সেখানে সেখানে হিংসার রাজনীতি চলছে । বিদ্বেষের রাজনীতি চলছে । ধর্মীয় মেরুকরণ চলছে । একদল মানুষ অন্য একদল মানুকে আক্রমণ করছে৷"
একই কথা বলছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও । বলেন, "সংবিধানকে ধ্বংস করে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে ৷" আর এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি দায়ি করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে ৷ প্রশাসনকে হিংসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন ৷
বাড়তে থাকা সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেন, "আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ৷"
সুব্রত মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীদের মেরে, গুলি করে তুলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন BJP কর্মীরা ।
তবে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন বঙ্গ BJP-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বলছেন, জামিয়া থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারাই অশান্তি বাধাচ্ছে । এদের কেউ পড়ুয়া নয় ।"
22 ফেব্রুয়ারির রাত থেকেই দিল্লির জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের কাছে রাস্তায় বসে CAA প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে প্রায় 500 জন মহিলা ৷ জাতীয় পতাকা হাতে তাঁদের আজাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় ৷ ঠিক তারপর দিনেই CAA-এর প্রতিবাদে দিল্লির জাফরাবাদ চত্বর অবরোধ করে রেখেছিল প্রায় দেড় হাজার মহিলা ৷