ETV Bharat / state

Tree Plantation: 'উত্তর ভারত থেকে আসা' দূষিত বায়ু মোকাবিলায় গাছ লাগাবে রাজ্য - মানস ভুঁইয়া

উত্তর ভারত থেকে আসা দূষিত বায়ুর প্রভাবে বাড়ছে দূষণ (Air Pollution) ৷ সমস্যা মোকাবিলায় বাংলা-ঝাড়খণ্ড এবং বাংলা-বিহার সীমানায় ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ (Tree Plantation) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government) ৷ জানালেন পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia) ৷

West Bengal Government will implement Tree Plantation project to reduce trans border Air Pollution
Tree Plantation: 'উত্তর ভারত থেকে আসা' দূষিত বায়ু মোকাবিলায় গাছ লাগাবে রাজ্য
author img

By

Published : Nov 10, 2022, 6:11 PM IST

কলকাতা, 10 নভেম্বর: 'উত্তর ভারত থেকে আসা দূষিত বায়ু'র মোকাবিলা করতে নয়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) ৷ স্থির হয়েছে, বায়ু দূষণের (Air Pollution) প্রভাব কমাতে বাংলা-ঝাড়খণ্ড এবং বাংলা-বিহার সীমানায় ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ (Tree Plantation) করা হবে ৷ আইআইটি দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি যৌথ সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সামগ্রিক দূষণের প্রায় 40 থেকে 50 শতাংশই আসে অন্যান্য প্রদেশ থেকে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্য়ে উত্তর ভারত থেকে রাজ্যে দূষিত বায়ু ঢোকে ৷ দূষণ মোকাবিলা করতে হলে তাই আগে এই দূষিত বায়ুর সঙ্গে লড়াই করতে হবে ৷ রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia) বলেন, অন্যান্য রাজ্য থেকে বাংলায় প্রবেশ করা এই দূষণের প্রভাব কমাতে হবে ৷ রাজ্যে দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য বন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে ৷

কিন্তু, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা পরিবেশ দফতর চাইলেই এই ধরনের প্রকল্প রূপায়ণ করা সম্ভব নয় ৷ কারণ, গাছ লাগানোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বন দফতরের অধীনস্ত ৷ তাছাড়া বিহার ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া রাজ্যের কোন কোন জেলার মধ্যে দিয়ে দূষিত বায়ু প্রবেশ করছে, তা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা দরকার ৷ তবে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বৃক্ষরোপণ অভিযান মূলত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া , বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় করা হতে পারে ৷ কিন্তু, শুধুমাত্র দূষিত বায়ুর প্রবেশপথ চিহ্নিত করলেই হবে না ৷ গাছ লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জমিগুলির মালিকদের অনুমতিও নিতে হবে ৷ ফলে এই পরিকল্পনা রূপয়ানের আগেই নানা জটিলতা সামনে আসছে ৷

আরও পড়ুন: এবারের উৎসবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল পরিবেশ দফতর, দাবি মানসের

এই প্রসঙ্গে মানস জানিয়েছেন, "আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভাব্য সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি ৷ আমাদের আন্তঃরাজ্য সীমানা বরাবর একটি বিশাল বৃক্ষরোপণ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ৷ যা প্রাকৃতিক বেড়ার মতো হবে ৷ প্রস্তাবটি বন দফতরের কাছে পাঠানো হবে ৷ কেন্দ্রের উচিত সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আসা ৷ কারণ ট্রান্স-বাউন্ডারি দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে ৷"

সাধারণত, বাতাসে জলীয় বাষ্প এবং তাপমাত্রা কমে গেলে ভাসমান ধূলিকণা নীচের দিকে নামতে শুরু করে ৷ একজন মানুষের উচ্চতা যতটা হয়, মোটামুটি সেই উচ্চতা পর্যন্ত ধূলিকণা নেমে আসে ৷ সেই বায়ু মানবদেহে প্রবেশ করলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ এই কারণেই দূষিত বায়ুর প্রকোপ কমানো আবশ্যিক ৷

কলকাতা, 10 নভেম্বর: 'উত্তর ভারত থেকে আসা দূষিত বায়ু'র মোকাবিলা করতে নয়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) ৷ স্থির হয়েছে, বায়ু দূষণের (Air Pollution) প্রভাব কমাতে বাংলা-ঝাড়খণ্ড এবং বাংলা-বিহার সীমানায় ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ (Tree Plantation) করা হবে ৷ আইআইটি দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি যৌথ সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সামগ্রিক দূষণের প্রায় 40 থেকে 50 শতাংশই আসে অন্যান্য প্রদেশ থেকে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্য়ে উত্তর ভারত থেকে রাজ্যে দূষিত বায়ু ঢোকে ৷ দূষণ মোকাবিলা করতে হলে তাই আগে এই দূষিত বায়ুর সঙ্গে লড়াই করতে হবে ৷ রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia) বলেন, অন্যান্য রাজ্য থেকে বাংলায় প্রবেশ করা এই দূষণের প্রভাব কমাতে হবে ৷ রাজ্যে দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য বন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে ৷

কিন্তু, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা পরিবেশ দফতর চাইলেই এই ধরনের প্রকল্প রূপায়ণ করা সম্ভব নয় ৷ কারণ, গাছ লাগানোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বন দফতরের অধীনস্ত ৷ তাছাড়া বিহার ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া রাজ্যের কোন কোন জেলার মধ্যে দিয়ে দূষিত বায়ু প্রবেশ করছে, তা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা দরকার ৷ তবে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বৃক্ষরোপণ অভিযান মূলত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া , বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় করা হতে পারে ৷ কিন্তু, শুধুমাত্র দূষিত বায়ুর প্রবেশপথ চিহ্নিত করলেই হবে না ৷ গাছ লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জমিগুলির মালিকদের অনুমতিও নিতে হবে ৷ ফলে এই পরিকল্পনা রূপয়ানের আগেই নানা জটিলতা সামনে আসছে ৷

আরও পড়ুন: এবারের উৎসবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল পরিবেশ দফতর, দাবি মানসের

এই প্রসঙ্গে মানস জানিয়েছেন, "আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভাব্য সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি ৷ আমাদের আন্তঃরাজ্য সীমানা বরাবর একটি বিশাল বৃক্ষরোপণ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ৷ যা প্রাকৃতিক বেড়ার মতো হবে ৷ প্রস্তাবটি বন দফতরের কাছে পাঠানো হবে ৷ কেন্দ্রের উচিত সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আসা ৷ কারণ ট্রান্স-বাউন্ডারি দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে ৷"

সাধারণত, বাতাসে জলীয় বাষ্প এবং তাপমাত্রা কমে গেলে ভাসমান ধূলিকণা নীচের দিকে নামতে শুরু করে ৷ একজন মানুষের উচ্চতা যতটা হয়, মোটামুটি সেই উচ্চতা পর্যন্ত ধূলিকণা নেমে আসে ৷ সেই বায়ু মানবদেহে প্রবেশ করলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ এই কারণেই দূষিত বায়ুর প্রকোপ কমানো আবশ্যিক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.