কলকাতা, 22 অগস্ট: বহু রাজ্যে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গের জন্য এমন কোনও রাজ্য সঙ্গীতের অস্তিত্ব ছিল না ৷ এবার রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ দিবসের পাশাপাশি একটি রাজ্য সঙ্গীত নির্দিষ্ট করতে চাইছে ৷ এই সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষাগত বৈচিত্র এবং বঙ্গবাসীর জীবনযাত্রা তুলে ধরা হবে ৷
বর্তমানে ছত্তিশগড়, গুজরাত, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, উত্তরাখণ্ডে নিজের নিজের রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে ৷ 2020 সালে ওড়িশার বিধানসভায় রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে 'বন্দে উত্কল জননী' গানটি ৷ তারও আগে 2012 সালে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে 'মেরে ভারত কে কণ্ঠহার'-কে গ্রহণ করছে বিহার ৷ অসমের রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে 'ও মুর আপুনার দেশ' ৷
এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সঙ্গীত কী হতে পারে, তা নিয়ে এবার পর্যালোচনা করছে রাজ্য সরকার ৷ এই রাজ্য সঙ্গীত প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিভিন্ন রাজ্যের জন্য রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে কোনও 'রাজ্য সঙ্গীত' নেই ৷ একটি জাতীয় সঙ্গীত গোটা ভারতের জন্য প্রযোজ্য ৷ রাজ্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট সঙ্গীত হলে, তা ভালোই হবে ৷"
ইতিমধ্যে পয়লা বৈশাখ দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার ৷ 20 জুন দিনটিতে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়েছে ৷ সেদিন রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধিক্কার দিবস পালিত হয়েছে ৷ তারপরই সুগত বসুর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় ৷ এই কমিটির আরও পাঁচ সদস্য পাঁচ মন্ত্রী- ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শিউলি সাহা ৷
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালনের জন্য সিদ্ধান্ত কমিটির
এই কমিটিই বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের প্রথম দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবসে হিসেবে উদযাপনের পক্ষে সওয়াল করেছে ৷ সূত্রের খবর, এই বিষয়ে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আসতে চলেছে ৷ সংশ্লিষ্ট কমিটি এই প্রস্তাব পেশ করবে রাজ্য বিধানসভায় ৷ একইভাবে রাজ্য সঙ্গীত নিয়েও প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে ৷