কলকাতা, 29 জুলাই: পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ৷ তিনি সরাসরি অভিযোগ করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা চালিয়েছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ৷ বিরোধী দলের কর্মীদের হত্যা এবং মহিলাদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন অনুরাগ ঠাকুর ৷ তাঁর অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দুষ্কৃতী এবং সমাজ বিরোধীদের রাজ্যে আশ্রয় দিয়েছেন ৷
রাজ্য সফরে এসে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার সরব হলেন অনুরাগ ঠাকুর ৷ সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানে মহিলাদের উপর হওয়া একাধিক নির্যাতনের অভিযোগকে ঘিরে দুই রাজ্যের বিরোধী দলের সরকারকে নিশানা করেছিলেন ৷ এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে আবার নারী নির্যাতন এবং রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মমতার সরকারকে একহাত নিলেন অনুরাগ ৷ মূলত, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র প্রতিনিধি দলের মণিপুর যাওয়া নিয়েই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন তিনি ৷
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি আসনে জয়লাভের আশা করেন ৷ তাঁর নাকের-ডগায় একের পর এক হত্যা হয়েছে ৷ তাঁর নির্দেশেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা গুন্ডাগিরি করেছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক ফায়দা করতে পশ্চিমবঙ্গে সমাজবিরোধীদের আশ্রয় দিয়েছেন ৷ ভোটলুঠ ও হিংসার মাধ্যমে আসন জিতেছেন ৷ তবে, তা করেও কোনও লাভ হয়নি ৷’’ অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন, হিংসার রাজনীতি করেও সাম্প্রতিক নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন সংখ্যা কমে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ইন্ডিয়া জোটের 21 সাংসদ, কলকাতায় কটাক্ষ অনুরাগের
অনুরাগ বলেন, ‘‘গত নির্বাচনে আমরা আগের থেকেও দ্বিগুণ ভোট পেয়েছি ৷ এর থেকে প্রমাণিত হয়, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সময় ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে ৷ তাই বোমাবাজি করে, গুলি চালিয়ে ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে কোনও লাভ হবে না ৷ ব্যালট বাক্সে পদ্মফুল ফুটবে ৷’’
আরও পড়ুন: খুন ও অশান্তি ছাড়া ভোটে কেন বিশ্বাস করেন মমতা, প্রশ্ন মোদির মন্ত্রী অনুরাগের
আজই বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে মণিপুরে গিয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র 21 সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ মূলত সেরাজ্যে হিংসা এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছে বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল ৷ সেই ইস্যুতে অধীর চৌধুরীর উদ্দেশ্যে অনুরাগ ঠাকুর প্রশ্ন করেন, ‘‘মণিপুর থেকে ফেরার সময় আপনি এবং বাকি বিরোধী দলের 20 জন সাংসদ কী পশ্চিমবঙ্গে আসবেন ? আই.এন.ডি.আই.এ প্রতিনিধিদের অপেক্ষায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নির্যাতিত এবং নিপীড়িতরা ৷’’