কলকাতা, 19 জুলাই: নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নির্দেশের প্রতিবাদে সরব হলেন দুই শিক্ষক সংগঠনের ৷ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সোশাল মিডিয়ায় কোনও মন্তব্য করা বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ ৷ সেই নির্দেশ মানতে নারাজ প্রতিবাদী দুই শিক্ষক শিক্ষক সংগঠন ৷
একটি সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, "কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা উপাচার্য কর্তৃক লিখিতভাবে জারি করা যথাযথ অনুমতি এবং অনুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও বিষয়ে কোনও ধরনের প্রেস/মিডিয়া/সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন ।" বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানিয়েছে, "এই নির্দেশ 14 জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এর যে কোনও লঙ্ঘন বা অসম্মতি হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অভিযোগ যথাযথ বলে মনে করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে ৷"
এই বিজ্ঞপ্তির তীব্র বিরোধিতা করেছে অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ৷ আবুটা বলেছে, এটি একটি কালো আইন, যা ভারতীয় সংবিধানের অধীনে বাকস্বাধীনতার অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে । এই আদেশটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটি কারাগারে পরিণত করবে, যেখানে চিন্তাভাবনাগুলিকে বাধা দেওয়া হবে বলে মনে করে আবুটা ৷ তাদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি বলেন যে, কালো আদেশ বাতিল করা না হলে, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমিতি রাস্তায় নামবে ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় 'গ্যাগ অর্ডার'-এর নিন্দা করেছেন এবং এর প্রতিবাদে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে সমাবেশ করার ও বাইরের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, "আমরা এই ধরনের আদেশের বিরোধিতা করছি এবং আমরা অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি ।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, "এটি একটি রুটিন অর্ডার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানের বিরুদ্ধে যায় না । অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী কি তাঁদের কর্মক্ষেত্রের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় অনুমোদন ছাড়া মন্তব্য করতে পারেন ?"