কলকাতা, 26 নভেম্বর: মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত আমির খানকে (Amir Khan) ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) । লালবাজারের থেকে আমির সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । আর এই তদন্ত করতে গিয়েই ইতিমধ্যে আমিরের একাধিক সাগরেদ বা সঙ্গীদের খোঁজ পেয়েছেন ইডি । যাদের মধ্যে নাম উঠে এসেছে তাঁর অন্যতম দুই সঙ্গীর (Two associates of Amir Khan under ED scanner) । তাদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ইডি (ED) আধিকারিকরা গত 8 মাসে আমির খানের প্রায় 200টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকার লেনদেনের যাবতীয় তথ্য পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর । এই টাকার উৎস কী ? কোন কোন খাতে এই বিপুল অংকের টাকা খাটানো হয়েছিল? এসবেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী সংস্থা ৷ নতুন করে আমির খানের 60টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে । ফলে আমির খানকে এখন লাগাতার জেরা করে বিপুল পরিমাণে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
প্রসঙ্গত, 2021 সালে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ কিন্তু, সেই সময় বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ ৷ পরবর্তীতে, চলতি বছর গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল লেনের একটি বাড়ির শোওয়ার ঘরের খাটের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় 17 কোটি টাকারও বেশি নগদ ! সেই টাকা উদ্ধার করে ইডি ৷ এই বাড়িটি আদতে আমির খানের বাবার ৷ এরপরই আসরে নামে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ পরবর্তীতে ভিনরাজ্য থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে তারা ৷ ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় বাংলায় ৷ এরপর থেকে দফায় দফায় বহুমূল্য়ের বিট কয়েন-সহ আরও অনেক কিছুই উদ্ধার হয় ৷
আরও পড়ুন: এবার ইডি হেফাজতে আমির খান, টাকার উৎস ও খরচ জানতে চান গোয়েন্দারা
শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (City Sessions Court) ৷ এজলাসে ইডি-এর আইনজীবী ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আমির খানকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান ৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৷ আগামী আট ডিসেম্বর পর্যন্ত আমির খানকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক ৷