কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: আগামী সোমবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে শনিবার সর্বদল বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছে। সূত্রের খবর, লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন মহুয়া মৈত্র-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে ছ'টি বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল সাংসদরা।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে তৃণমূল প্রতিনিধিরা বলেন, "আপনি সংসদ অধিবেশনের আগে এই সর্বদলীয় বৈঠক করে সময় নষ্ট করছেন। গত অধিবেশনে আপনি সর্বদলীয় বৈঠকের না জানিয়েছেই অধিবেশনের মাঝেই গোপনে বিল জুড়ে দিয়েছেন। এমনকী, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম-এর মত তিনটি বড় বিল পাস করবেন না।"
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়েও তৃণমূলের তরফে আলোচনার আবেদন করা হয়। 100 দিনের বকেয়া-সহ স্বাস্থ্য তহবিল দ্রুত রাজ্যগুলোকে মেটানোর জন্যও পৃথক আলোচনা চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিরোধী সংসদের বক্তব্য পেশের সময় দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিনের বৈঠকেও বিরোধীদের বিষয় উত্থাপনের জন্য সময় চেয়েছেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। বেকারত্ব ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে ওই বৈঠকেই তৃণমূল প্রতিনিধিরা বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যুবকদের বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার অনুমতি দিতে হবে। শুধু নিজের প্রশংসার জন্য আলোচনা না-করে।"
মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, "সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনগুলি সংসদের পেশ করার আগেই বাইরে প্রকাশ পাচ্ছে কীভাবে ? তৃণমূলের একজন সদস্যকে 'শীঘ্রই বহিষ্কার করা হবে' বলেও সংবাদমাধ্যমে প্রচার চলছে। এই বিষয়ে সংসদের ফ্লোরে আলোচনা হতে পারে। এই আলোচনা হওয়ার পরেই কি হাউজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে !"
আরও পড়ুন