দার্জিলিং, 7 অক্টোবর: "পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন ? এবার ঘরে ফিরে আসুন।" রাজ্যপালকে নিয়ে এমনই কটাক্ষের সুর শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
100 দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা আদায়ের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজনের এক প্রতিনিধি দল। এর আগে শুক্রবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ সেই মতো এদিন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার শনিবার সকালে বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছন। আর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালকে কার্যত একহাত নিলেন শাসকদলের এই ত্রয়ী।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যপাল ডেকেছেন। তাই আমরা সম্মান রক্ষা করতে যাচ্ছি। উনি তো কলকাতায় যাচ্ছেন না। দিল্লি আর দার্জিলিং করছেন। কেন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ? ফিরে আসুন নিজের ঘরে। সারা পশ্চিমবঙ্গে ঘুরুন প্রত্যেকে 100 দিনের টাকার দাবি করবে। এই আওয়াজ তিনি আর বিজেপির কেউ শুনতে চাইছে না। এই আওয়াজ 2024-এর ভোটেও প্রতিফলিত হবে।" তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, "রাজ্যপালের ভূমিকা হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। সেটাই মনে করাতে যাচ্ছি।"
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে আজ রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল, কলকাতায় তৃতীয় দিনেও ধরনায় অটুট অভিষেক
অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্র বলেন, "তিনি (রাজ্যপাল) দার্জিলিংয়ে এসেছিলেন। তাঁর কী কাজ ছিল জানি না ! কেন এসেছিলেন জানি না ! তিনি চালের প্যাকেট আর জলের প্যাকেট দিলেন কি না, তাও জানি না। তারপর তিনি দিল্লি পালিয়ে গেলেন। আবার দার্জিলিং এলেন। আমার মনে হয় এই সময়ের আবহাওয়া ওনার পছন্দ হয়েছে। আমরা চাই আপনি দয়া করে দ্রুত কলকাতায় ফিরে যান ৷ সেখানে আমাদের সঙ্গে দেখা করুন। সাত হাজার কোটি টাকা 100 দিনের ও সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা আবাস যোজনায় বকেয়া ৷ টাকা কেন্দ্র থেকে পেতে সাহায্য করুন। আর দিল্লিতে পুলিশ যা করেছে তা বিজেপির কথা শুনে। গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরেছে বিজেপি।"