কলকাতা, 3 জুলাই: তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য একুশে জুলাই শহিদ তর্পনের দিন। এইদিন শাসক শিবিরের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন ৷ গত দু'বছর করোনার কারণে হয়নি জনসমাবেশ ৷ আর এবছর মহা-সমারোহে পালিত হতে চলেছে 21 জুলাইয়ের শহিদ দিবস ৷ আর এই শহিদ দিবসে শহিদদের স্মরণে এই প্রথমবার তথ্যচিত্র তৈরি হতে চলেছে (TMC Making Documentary on 21 July)৷ যাঁর নজরদারিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
1993 সালের এই দিনটিতে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমে কলকাতার রাজপথে শহিদ হয়েছিলেন 13 জন কর্মী-সমর্থক । সচিবালয় অভিযানে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছিলেন বন্দনা দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মণ্ডল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ দাস, মহম্মদ খালেক ও ইনু।
আরও পড়ুন : রাজ্য থেকে দেশ, একুশের সেকাল-একালে মমতা
এরপর গঙ্গা থেকে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আজকের নবীন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই আত্মত্যাগের ইতিহাস। অনেকে জানলেও তাঁদের স্মৃতিতে পড়েছে ধুলোর পরত। একুশে জুলাইয়ের এই শহিদদের রক্তমাখা ইতিহাস নিয়ে তাই এবার তথ্যচিত্র তৈরি করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একুশে জুলাই দিনটিকে আজীবন স্বর্ণাক্ষরে স্মরণে রাখতে পারে।
এই তথ্যচিত্র নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক। দলীয় সূত্রে খবর, দলের শেষ সাংগঠনিক বৈঠকে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে 21 জুলাইকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রস্তাব ওঠে। এরপর এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে । পার্থ ভৌমিক নিজে একজন নাট্য পরিচালক, পাশাপাশি সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ।
আরও পড়ুন : একুশে জুলাই নিয়ে মদন-অর্জুন বৈঠক
স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্যচিত্র নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকেই। জানা গিয়েছে, নেতৃত্বের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছেন ওই বিধায়ক। গোটা তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজটি হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে। আগামী 21 জুলাই শহিদ দিবস পালনকে কেন্দ্র করে জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। চলতি মাসের 21 তারিখ ধর্মতলায় হবে শহিদ দিবসের সমাবেশ। সেই সমাবেশ মঞ্চেই হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্যচিত্রের উন্মোচন করা হতে পারে।