কলকাতা, 29 জানুায়ারি : রাজ্যের 93 টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমের সংরক্ষণ তালিকার যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের মধ্যে । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই 10টির বেশি আপত্তির কথা জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট জেলায় । আবার অনেকেই ক্ষুব্ধ হলেও সে বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে প্রকাশ্যে আনেননি নিজের ক্ষোভের কথা । সাধারণভাবে দেখা যায় যে অনেক তৃণমূল কাউন্সিলের স্ত্রী পৌরনির্বাচনের টিকিট পান কিন্তু এই খসড়ার ফলে তাঁরা টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । তবে ওইসব নেতাদের ক্ষোভ ভোট বাক্সে পড়তে পারে বলে মনে করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ।
গোষ্ঠী রাজনীতির সমীকরণে থাকা শাসক দলের অনেক পৌর প্রতিনিধির আসন এবার মহিলাদের সংরক্ষণের আওতায় । আগের রেকর্ড অনুযায়ী, এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা হল, স্ত্রীকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে ক্ষমতা ভোগ করা । কিন্তু অনেকেই আবার নিজের স্ত্রীকে নির্বাচনী ময়দানে আনতে চান না । সেই সব জায়গাতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা । যেমন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার এক কাউন্সিলের নিজের ওয়ার্ডকে ব্যাপকভাবে সাজিয়েও গতবার পড়েছিলেন সংরক্ষণের আওতায় । তিনি অন্য একটি বামপন্থী ওয়ার্ড থেকে জিতে আসেন । জেতার পর সেই অঞ্চলকে নিজের মতো করে সাজিয়ে দিয়েছেন । রাজ্যের এক মন্ত্রী তথা ওই এলাকার প্রভাবশালী নেতা তৎপর হয়ে ওই ওয়ার্ডটি সংরক্ষণের আওতায় এনেছেন বলে মনে করছেন ওই কাউন্সিলর । আবার আগে তিনি যে ওয়ার্ডে দাঁড়াতেন সেই ওয়ার্ডটি এবারও সংরক্ষণের আওতায় ৷ ফলে বিপাকে পড়েছেন ওই কাউন্সিলর ৷
আশঙ্কার সূত্র ধরে দিন কয়েক আগে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী চিঠি পাঠান ওই কাউন্সিলর । বলা হয়, কোন থিওরিতে অর্থাৎ সিডিউল ও টার্মে এবারের সংরক্ষণ তৈরি করা হয়েছে তা জানানোর জন্য । দু'দিনের মধ্যে উত্তর পাওয়া যায়নি বলে আদালতে মামলা করেন তিনি । এদিকে দমদম, উলুবেরিয়া সহ একাধিক পৌরসভা থেকে সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে । সেই সব আপত্তির সূত্র ধরে 30 জানুয়ারির পর শুরু হবে হিয়ারিং । তারপর 10 ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা ।