কলকাতা, 25 মে: শহরের এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য CESC কর্তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ি করলেন বাম সংগঠনের নেতা শ্যামল চক্রবর্তী । উভয়েরই আরও বেশি দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল । না হলে এমন কঠিন অবস্থা হত না শহরের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি । প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ CITU নেতা ।
শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন, "CESC কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের অর্ধেকও ব্যবহার করছে না । অথচ অতীতে এই ধরনের বিপর্যয় হলে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করা হত । তৎকালীন বাম সরকার ও CITU ইউনিয়ন অগ্রিম উদ্যোগ নিত । কর্তৃপক্ষও বাধ্য হত কাজ করতে ও করাতে ।" কর্মীরা সব বাইরে চলে গিয়েছে, একথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন শ্যামল চক্রবর্তী । তাঁর মতে, মোটামুটি CESC-র সব কর্মীরাই কলকাতা বা সংলগ্ন শহরতলিতে থাকেন ।
তাঁর কথায়, "কয়েকজন হয়তো কাজে অনুপস্থিত । তাঁদেরও ফোন করে, গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে আসা যায় । অথবা তারা নিজেরাই চলে আসতে পারেন । তারা তো প্রতি দুর্যোগেই কাজ করেন । কর্পোরেশন বা বনদপ্তর গাছ না কাটলে বিদ্যুতের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় । বহু জায়গায় বিদ্যুতের তার এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে তাতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে । শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের দেখা মেলা ভার । মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন । একসময় দেখবেন তার পিছনে কেউ নেই । সেদিন দেখবেন, শূন্যতাই মুখ্যমন্ত্রীর শোভা । পিনারাই বিজয়নকে দেখে শিখুন । কীভাবে মানুষকে জমায়েত করে অসাধ্য সাধন করা যায় । বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সম্ভবত স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিৎকার করে বলেছিলেন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নেই, এ কেমন সরকার ? এখন দশ বছর সরকার চালানোর পরও দেখা যাচ্ছে সরকারি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ ।"
বিপর্যয় থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে নাটক করছেন । প্রবল ক্ষোভের সঙ্গে একথা জানিয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী ।
"সরকার এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা কাণ্ডজ্ঞানহীন" - west bengal government
প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ CITU নেতা ।
কলকাতা, 25 মে: শহরের এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য CESC কর্তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ি করলেন বাম সংগঠনের নেতা শ্যামল চক্রবর্তী । উভয়েরই আরও বেশি দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল । না হলে এমন কঠিন অবস্থা হত না শহরের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি । প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ CITU নেতা ।
শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন, "CESC কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের অর্ধেকও ব্যবহার করছে না । অথচ অতীতে এই ধরনের বিপর্যয় হলে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করা হত । তৎকালীন বাম সরকার ও CITU ইউনিয়ন অগ্রিম উদ্যোগ নিত । কর্তৃপক্ষও বাধ্য হত কাজ করতে ও করাতে ।" কর্মীরা সব বাইরে চলে গিয়েছে, একথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন শ্যামল চক্রবর্তী । তাঁর মতে, মোটামুটি CESC-র সব কর্মীরাই কলকাতা বা সংলগ্ন শহরতলিতে থাকেন ।
তাঁর কথায়, "কয়েকজন হয়তো কাজে অনুপস্থিত । তাঁদেরও ফোন করে, গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে আসা যায় । অথবা তারা নিজেরাই চলে আসতে পারেন । তারা তো প্রতি দুর্যোগেই কাজ করেন । কর্পোরেশন বা বনদপ্তর গাছ না কাটলে বিদ্যুতের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় । বহু জায়গায় বিদ্যুতের তার এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে তাতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে । শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের দেখা মেলা ভার । মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন । একসময় দেখবেন তার পিছনে কেউ নেই । সেদিন দেখবেন, শূন্যতাই মুখ্যমন্ত্রীর শোভা । পিনারাই বিজয়নকে দেখে শিখুন । কীভাবে মানুষকে জমায়েত করে অসাধ্য সাধন করা যায় । বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সম্ভবত স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিৎকার করে বলেছিলেন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নেই, এ কেমন সরকার ? এখন দশ বছর সরকার চালানোর পরও দেখা যাচ্ছে সরকারি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ ।"
বিপর্যয় থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে নাটক করছেন । প্রবল ক্ষোভের সঙ্গে একথা জানিয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী ।