কলকাতা, 21 মার্চ: রাজ্যের টাকায় বিজেপি কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে 100 দিনের কর্মীদের বেতন হয় । আর কেন্দ্র 100 দিনের টাকা এক বছর ধরে আটকে রেখেছে । 2023-2024 অর্থ বর্ষের বাজেটের উপর আলোচনা করতে উঠে এভাবেই বিরোধী বেঞ্চে বসে থাকা বিজেপি কাউন্সিলরদের আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী । বাজেট বক্তৃতায় সাধারণত বিরোধী বেঞ্চ থেকে মূলত আক্রমণ আসে সরকারি বেঞ্চের দিকে । তবে এদিন খানিকক্ষণের জন্য চিত্রটা খানিকটা উলটে গিয়েছিল । কলকাতা পৌরনিগমে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Mayor Firhad Hakim) পেশ করা বাজেটকে (KMC Budget Session) সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতি লাইনে যেন কেন্দ্রের সরকার ও শাসকদল বিজেপিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী ।
এদিন তিনি বলেন, "সংযুক্ত এলাকায় এলইডি লাইট আরেকটু দ্রুত লাগান । পুরনো কলকাতায় এলইডি লাগানোর ফলে 50 কোটি বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে । সংযুক্ত এলাকায় এলইডি লাগালে এখানেও টাকা বাঁচবে ।" এরপরেই বিরোধী বেঞ্চে বসা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের দিকে উদ্দেশ্য করে অরূপের মন্তব্য, আধিকারিকের চায়ের টাকা নিয়ে বলছেন । চা বিক্রি করে তো একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে বাকিদের কী অসুবিধা । তোমাকেও চা খাওয়াব ।
কোষাগারে বেহাল অবস্থার পরেও এমন খরচের প্রশ্রয় দেওয়া নিয়ে তোপ দাগে সজল । উত্তরে অরূপ জানান, 10 লক্ষের স্যুট পড়লে চোখে অস্বচ্ছতা লাগে না ! পালটা সজল ঘোষ চিৎকার করে বলতে থাকেন, তোমাদের চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না তো । আর এভাবেই দুই পক্ষের মধ্যে অভিযোগ ও কটাক্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ । বেহাল পৌর কোষাগারের পালটা কেন্দ্রের কাছে বকেয়ার কথা উল্লেখ করে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "147 লক্ষ্য কোটির দেনায় ডুবিয়েছ রাজ্যকে । এখন বলছে তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে । এই বাজেট সস্তার চটকদার নেই । মনকি বাত নেই ।"
এরপরেই অরূপ কটাক্ষের সুরে জানান, সজল ঘোষের ওয়ার্ডে 100 দিনের কর্মীদের বেতন দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর তাঁর কেন্দ্র সরকার এক বছর ধরে 100 দিনের টাকা আটকে রেখেছে রাজ্যের । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক হাজার টাকা করে গরিব মানুষকে দেয় ৷ আর দেশের মোদি সরকার কেটে নেয় । গরিবের হতে টাকা দিচ্ছে তৃণমূল আর দেশের সরকারের মদতে নীরব মোদিরা হাজার কোটি টাকা লুঠ করছে ।
আরও পড়ুন: কলকাতা কর্পোরেশনের বাজেট অধিবেশনে অসুস্থ মীনাদেবীর পাশে ফিরহাদ