কলকাতা, 31 অক্টোবর: উৎসবের মরশুমকে জনসংযোগের কাজে লাগাতে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে । বাদ যায়নি তৃণমূলও ৷ বুক স্টল থেকে পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয় । যার প্রধান উদ্দেশ্য হল জনসংযোগ বাড়ানো ৷ এ বছরের দুর্গা উৎসবে তার পরিবর্তন ঘটেনি । জনসংযোগ কর্মসূচির তালিকায় নতুন সংযোজন জেলা কার্নিভাল শেষে বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠান । শাসকদলের পক্ষ থেকে সরাসরি এই বিজয় সন্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে । এই অনুষ্ঠানে স্বনামধন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক, সাংবাদিক বা দলের কোনও প্রবীণকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে । স্থানীয় বিধায়ক কিংবা তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা ও মূলকর্তা থাকবেন । সোমবার দলের তরফে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের নেতা-মন্ত্রীরা থেকে সমস্ত নেতাকেই নিজের এলাকায় বিজয় সন্মিলনীর অনুষ্ঠান করতে হবে । শাসকদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী 1 থেকে 9 নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে তৃণমূলের তরফে বিজয় সন্মিলনীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে । ফুল,মালা মিষ্টি দিয়ে দলের সর্বক্ষণের কর্মী ও পুরনো কর্মীদেরও সম্বর্ধনা দেওয়া হবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে । পাশপাশি নির্দিষ্ট গ্রাম, সংসদ এলাকা কিংবা পঞ্চায়েত এবং পৌর এলাকার ওয়ার্ড প্রেসিডেন্টকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে । সবমিলিয়ে দলীয় কর্মী ও অনুগতদের কাছাকাছি পৌঁছনো ও তাদের মনের ভাব জানাটাই অন্যতম উদ্দেশ্য দলের । যাকে এককথায় জনসংযোগ কর্মসূচি বললেও খুব ভুল হয় না ৷
আরও পড়ুন : লক্ষ্য জনসংযোগ, এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে মমতা-অভিষেক
চুরি-দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন । যা নিয়ে বিরোধীরা শিবির রাজ্যের শাসকদলকে নানাভাবে সমালোচনা এবং আক্রমণ করছেন । ট্রেনে বাসে চায়ের দোকানে আলোচনার ঝড় উঠছে । এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে নিয়ে কি ভাবছে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে তা বুঝে নিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির । বলা যায় নির্বাচনের আগে পালের হাওয়া কোনও দিকে বইছে তা আঁচ করতেই বিজয়া সন্মিলনীর আয়োজন ৷