ETV Bharat / state

পুলিশ দেখে ছাদ থেকে ঝাঁপ, কড়েয়ার 3 দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার বৈঁচিতে - kolkata news

17 সেপ্টেম্বর রাতে নিশাত হায়দার নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে কড়েয়া থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে একটি হুক্কা বারে পৌঁছায় । সেই সময় তারা বোমাবাজি করে । অন্তত চারটি বোমা ছোড়া হয় বলে স্থানীয়দের দাবি । সঙ্গে চালানো হয় তিন রাউন্ড গুলি । খবর পেয়ে গতরাতে বৈঁচিতে স্টেশন রোডে তাদের ডেরায় হানা দেয় পুলিশের বিশেষ দল । সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের ।

kolkata news
kolkata news
author img

By

Published : Sep 23, 2020, 6:22 PM IST

কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : একেবারে সিনেমার কায়দা । খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ হাজির দুষ্কৃতীদের গোপন ডেরায় । তখন নিশুতি রাত । কিন্তু বাড়ির ছাদে সজাগ ছিল দুষ্কৃতীরা । পুলিশের উপস্থিতি বুঝেই ছাদ থেকে লাফ । তারপর একটি পুকুরে লুকিয়ে থাকা । পুলিশও ছিল নাছোড়বান্দা । সেই পুকুর থেকেই পাকড়াও করা হল তিন দুষ্কৃতীকে। এই দুষ্কৃতীরাই দিন পাঁচেক আগে কড়েয়ায় হুক্কা বারের সামনে চালিয়েছিল তাণ্ডব ।

কড়েয়া থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে একটি হুক্কা বার সম্প্রতি অনেক রাত অবধি খোলা থাকছিল । রাত দেড়টা নাগাদও সেই বার বন্ধ হচ্ছিল না । তার সুযোগ নিয়ে বিশ্বকর্মা পুজো অর্থাৎ 17 সেপ্টেম্বর রাতে নিশাত হায়দার নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে সেখানে পৌঁছায় । তারা খোঁজ করতে থাকে ওই বারের মালিক রাহুল সিংয়ের । বারের ম্যানেজারের দাবি, তোলাবাজির জন্যই মালিকের খোঁজ চালাচ্ছিল তারা । কিন্তু ওই সময়ে বারের মালিক রাহুল ছিলেন না । ম্যানেজার মহম্মদ আমিন কথা বলতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। এরপর ওই বার থেকে নিশাত তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে বেরিয়ে যায়। এই সময় তারা বোমাবাজি করে । অন্তত চারটি বোমা ছোড়া হয় বলে স্থানীয়দের দাবি । সঙ্গে চালানো হয় তিন রাউন্ড গুলি ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আগেও হায়দারের নাম উঠেছে বিভিন্ন গন্ডগোলে । কড়েয়া থানা এলাকায় ইদানিং যথেষ্ট প্রভাব তৈরি হয়েছে তার । অন্তত স্থানীয় মানুষজনের দাবি তেমনই । অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি , তোলাবাজিতে সে হয়ে উঠেছে কুখ্যাত । বারের সামনে গুলি চালানোর পর হায়দার এবং তার সঙ্গী সাথীরা গা ঢাকা দেয় । বিভিন্ন সোর্স মারফত খবর পাওয়া যায় দুষ্কৃতীরা গা-ঢাকা দিয়েছে হুগলির পান্ডুয়া থানা এলাকায় । বৈঁচিতে স্টেশন রোডে শেখ রুস্তমের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তারা । গতরাতে সেখানে হানা দেয় পুলিশের বিশেষ দল । সেখানে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে পালায় তারা । পুলিশের কাছে শেখ রুস্তম স্বীকার করে নেয়, দুষ্কৃতীদের গা ঢাকা দেওয়ার কথা। ওই বাড়ির ছাদে তাদের বিছানাও পাওয়া যায় । পুলিশ ফের শুরু করে তল্লাশি । বোঝা যায়, বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গা-ঢাকা দিয়েছে তারা । পুকুরপাড় ঘিরে ফেলে অপেক্ষা করতে থাকে পুলিশ । তারপর সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় বছর 25-এর নিশাত হায়দার, বছর 26-এর শানোয়াজ হোসেন এবং বছর 27-এর মোহাম্মদ মাসুককে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ।

কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : একেবারে সিনেমার কায়দা । খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ হাজির দুষ্কৃতীদের গোপন ডেরায় । তখন নিশুতি রাত । কিন্তু বাড়ির ছাদে সজাগ ছিল দুষ্কৃতীরা । পুলিশের উপস্থিতি বুঝেই ছাদ থেকে লাফ । তারপর একটি পুকুরে লুকিয়ে থাকা । পুলিশও ছিল নাছোড়বান্দা । সেই পুকুর থেকেই পাকড়াও করা হল তিন দুষ্কৃতীকে। এই দুষ্কৃতীরাই দিন পাঁচেক আগে কড়েয়ায় হুক্কা বারের সামনে চালিয়েছিল তাণ্ডব ।

কড়েয়া থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে একটি হুক্কা বার সম্প্রতি অনেক রাত অবধি খোলা থাকছিল । রাত দেড়টা নাগাদও সেই বার বন্ধ হচ্ছিল না । তার সুযোগ নিয়ে বিশ্বকর্মা পুজো অর্থাৎ 17 সেপ্টেম্বর রাতে নিশাত হায়দার নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে সেখানে পৌঁছায় । তারা খোঁজ করতে থাকে ওই বারের মালিক রাহুল সিংয়ের । বারের ম্যানেজারের দাবি, তোলাবাজির জন্যই মালিকের খোঁজ চালাচ্ছিল তারা । কিন্তু ওই সময়ে বারের মালিক রাহুল ছিলেন না । ম্যানেজার মহম্মদ আমিন কথা বলতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। এরপর ওই বার থেকে নিশাত তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে বেরিয়ে যায়। এই সময় তারা বোমাবাজি করে । অন্তত চারটি বোমা ছোড়া হয় বলে স্থানীয়দের দাবি । সঙ্গে চালানো হয় তিন রাউন্ড গুলি ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আগেও হায়দারের নাম উঠেছে বিভিন্ন গন্ডগোলে । কড়েয়া থানা এলাকায় ইদানিং যথেষ্ট প্রভাব তৈরি হয়েছে তার । অন্তত স্থানীয় মানুষজনের দাবি তেমনই । অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি , তোলাবাজিতে সে হয়ে উঠেছে কুখ্যাত । বারের সামনে গুলি চালানোর পর হায়দার এবং তার সঙ্গী সাথীরা গা ঢাকা দেয় । বিভিন্ন সোর্স মারফত খবর পাওয়া যায় দুষ্কৃতীরা গা-ঢাকা দিয়েছে হুগলির পান্ডুয়া থানা এলাকায় । বৈঁচিতে স্টেশন রোডে শেখ রুস্তমের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তারা । গতরাতে সেখানে হানা দেয় পুলিশের বিশেষ দল । সেখানে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে পালায় তারা । পুলিশের কাছে শেখ রুস্তম স্বীকার করে নেয়, দুষ্কৃতীদের গা ঢাকা দেওয়ার কথা। ওই বাড়ির ছাদে তাদের বিছানাও পাওয়া যায় । পুলিশ ফের শুরু করে তল্লাশি । বোঝা যায়, বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গা-ঢাকা দিয়েছে তারা । পুকুরপাড় ঘিরে ফেলে অপেক্ষা করতে থাকে পুলিশ । তারপর সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় বছর 25-এর নিশাত হায়দার, বছর 26-এর শানোয়াজ হোসেন এবং বছর 27-এর মোহাম্মদ মাসুককে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.