কলকাতা, 27 মে : এবছর পাওয়া যাবে না পে কমিশনের কার্যকারিতা। সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা করতে হবে আরও সাত মাস। কারণ আরও একবার মেয়াদ বাড়ল রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের। রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এবার সাত মাস বাড়ানো হয়েছে কমিশনের মেয়াদ। অর্থাৎ পে কমিশন কাজ করবে এবছরের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ বেড়েছে অনেকটাই।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন গঠিত হয় 2015 সালে। তারপর থেকে 7 বার বাড়ল কমিশনের মেয়াদ । তার জেরেই ক্ষোভে ফুঁসছেন কর্মীরা । যদিও কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কর্মী সংগঠনগুলির দাবির শুনানি হয়ে গেছে । 25 টি দপ্তরের কাজও সম্পন্ন হয়েছে । কিন্তু হয়নি 26 টি দপ্তরের কাজ । 78 টি আধা সরকারি সংস্থার কাজও হয়নি । ফলে এই কাজগুলি করতে অনেকটা সময় লাগবে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেটা ফল দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে । আসলে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাদের বকেয়ার জন্য দাবি করে আসছিলেন । বিশেষ করে বকেয়া DA নিয়ে রীতিমতো ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা । গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো পে কমিশন কার্যকর না হওয়ার বিষয়টি রয়েছে ।
রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক বিজয়শংকর সিনহা এপ্রসঙ্গে বলেন, "বকেয়া DA লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । তার উপরে সপ্তম পে কমিশন কার্যকর হচ্ছে না । সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ হওয়াটা স্বাভাবিক । আর তার প্রতিফলন পোস্টাল ব্যালটে পড়বেই । শুধু তাই নয় ঠিক করে খোঁজ নিন, যারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেননি তারা কোথায় ভোট দিয়েছেন ।" DA-র কথা বলাতে মুখ্যমন্ত্রী অনেকবার চটেছেন । অসংলগ্ন কিছু কথাও বলে দিয়েছিলেন । সরকারি কর্মচারীদের ভোটবাক্সে তারই প্রতিফলন ঘটল বলে মনে করছেন অনেকেই।
আজ কমিশনের মেয়াদ বাড়ার পর বিজয়শংকর বলেন, "আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি । এরাজ্যে ক্লাবকে টাকা দিচ্ছে, উৎসব হচ্ছে, ফূর্তি হচ্ছে দেদার । সবটাই ভাঁওতা । সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক । আগামীকাল রাজ্যজুড়ে টিফিনের সময় বিক্ষোভ হবে ।"