কলকাতা, 4 মে: রোগীদের সুরক্ষায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতাল । কোরোনা সংক্রমণ যাতে এই হাসপাতালে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত ও COVID-19-এর চিকিৎসার জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ডের ব্যবস্থার পর ফের এই হাসপাতাল চালু করা হবে । এই হাসপাতালে COVID-19-এ আক্রান্ত 20 এবং অন্যান্য বিভাগে 130 জন রোগী ভরতি রয়েছেন । তাঁদের চিকিৎসা চলবে ।
পঞ্চসায়রের ওই বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19-এর চিকিৎসার জন্য 7টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত এই ওয়ার্ডে 20 জন COVID-19 আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে । রোগীদের যাতে ফিরিয়ে দিতে না হয় তার জন্য এত বেশি সংখ্যক রোগী এই ওয়ার্ডে রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে । এদিকে হাসপাতালের 4 জন চিকিৎসক, একজন নার্স এবং 2 জন কর্মী COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন । এই আক্রান্তদের মধ্যে একজন চিকিৎসক কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করেছেন । আক্রান্ত অন্য চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মীরা হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর ডিউটি করেছেন । এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 70 জন এখন কোয়ারানটিনে রয়েছেন ।
জানা গেছে, 70 জন কোয়ারানটিনে থাকায় এমনিতেই ভরতি থাকা রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । পাশাপাশি হাসপাতালের এই পরিস্থিতির জেরে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ অন্যান্য কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । আক্রান্ত 4 চিকিৎসক, একজন নার্স এবং দুজন কর্মীর মধ্যে মাত্র একজন চিকিৎসক COVID-19-এর ওয়ার্ডে ডিউটি করেছেন । তাহলে কি হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোরের COVID-19-এর উপসর্গহীন কারও কাছ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ওই পাঁচজন ? বিষয়টি নিয়েও আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে হাসপাতালে ।
সোমবার সন্ধ্যার পর বেসরকারি ওই হাসপাতালের চিফ এগজ়িকিউটিভ সুদীপ্ত মিত্র বলেন, "হাসপাতালে যাতে আরও সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, রোগীদের যাতে সুরক্ষিত রাখা যায়, তার জন্য ইমারজেন্সি ও ইনডোর- আউটডোর বন্ধ রাখা হয়েছে । রোগীদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমাদের । ওই রোগীদের চিকিৎসা চলবে ।"
কবে আবার হাসপাতাল চালু হতে পারে ? বেসরকারি হাসপাতালের চিফ এগজ়িকিউটিভ বলেন,"হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত করা হবে । COVID-19-এর জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে । এই ওয়ার্ড প্রস্তুত হয়ে গেলে আবার হাসপাতালের পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে । এর জন্য এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে ।"