কলকাতা, 1 মে : দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ । করোনা ছোবলে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ । বাড়ছে শহরে মৃত্যুর সংখ্যা । গত 24 ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন 96 জন । শুধু মাত্র কলকাতাতেই মারা গেছেন 28 জন ,উত্তর 24 পরগনায় 20 জন, দক্ষিণ 24 পরগনায় সাতজন এবং হুগলিতে 14 জন । শহরের শ্মশানগুলির বাইরে যেন মৃতদেহের মিছিল । দাহ করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই কলকাতায় করোনা মৃতদেহ সৎকারের জন্য চুল্লি সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম ।
ধাপা ও নিমতলা শ্মশানে চুল্লির সংখ্যা কম থাকায় দাহ করার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । সেই সঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন পরিজনেরা । এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে ধাপায় এবং উত্তর কলকাতার নিমতলা শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করতে চুল্লি সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । এখন থেকে ধাপায় চারটি ও নিমতলায় চারটি চুল্লিতে কোরোনার দাহ করা হবে । এছাড়াও বিরজুনালা সহ অন্যান্য চুল্লিতে আগের মতোই করোনা দেহ সৎকার করা হবে । গতকাল রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন মৃতদেহ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না । যে উচ্চতাপে মানুষের দেহ দাহ করা হয় সেই তাপমাত্রায় কোনও জীবাণু বেঁচে থাকে না । সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে কালো প্লাস্টিক এর বদলে কালো কাপড় ব্যবহার করা হবে মৃতদেহ আবরণ করার জন্য । কালো প্লাস্টিক চুল্লিতে দাহ করতে সমস্যা হয় তাছাড়াও দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে জটিলতা দূর করতেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তিনি বলেন, "করোনায় মৃতদের দাহ করার সঙ্গে সঙ্গেই ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে পরিজনদের হাতে । শ্মশানে হাতে হাতে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে । যদি কেউ তা সংগ্রহ না করতে পারেন তাহলে কলকাতা পৌরনিগমের তরফ থেকে সেই পরিবারের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে ডেথ সার্টিফিকেট ।"