ETV Bharat / state

Chicken-Fruits in Mid-Day Meal: মাথাপিছু 20 টাকায় মিড-ডে মিলে চিকেন ও ফল দেওয়া সম্ভব ? প্রশ্ন শিক্ষকদের - মিড ডে মিল

মিড-ডে মিলে মুরগির মাংস ও মরশুমি ফল দেওয়ার নয়া নির্দেশিকা আসতেই শুরু বিতর্ক (Chicken Fruits in Mid Day Meal) ৷ বিরোধীরা বলছেন, পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলেই এই আয়োজন ৷ আবার শিক্ষকরা বলছেন এই ক'টা টাকায় কীভাবে সম্ভব এত কিছু দেওয়া ?

ETV Bharat
মিড ডে মিল
author img

By

Published : Jan 6, 2023, 6:25 PM IST

মিড ডে মিলে চিকেন ও ফল দেওয়ার জন্য মাথাপিছু 20 টাকা বরাদ্দ করায় শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া

কলকাতা, 6 জানুয়ারি: পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে চারমাসের জন্য বাড়ানো হচ্ছে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ অর্থ । স্কুল শিক্ষা দফতরের বৃহস্পতিবারের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিড-ডে মিলে যুক্ত হবে মুরগির মাংস, ডিম ও ফল । টানা 16 সপ্তাহ সরকারি উদ্যোগে পড়ুয়ারা পাবে পুষ্টিকর এই খাবার । এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে অতিরিক্ত 371 কোটি 90 লক্ষ 78 হাজার 400 টাকা । কিন্তু বর্তমানে যা বাজারদর তাতে এই টাকায় কি আদৌ সম্ভব এত কিছু ? সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । পোল্ট্রির ডিম 13 টাকা জোড়া, পোল্ট্রির কাটা মুরগির মাংস 200 টাকা ও গোটা 140 টাকা কিলো । ফলে সেখানে দাঁড়িয়ে এই পড়ুয়াদের মাথাপিছু যদি 20 টাকা করে ধরা হয়, তাহলে এই খাবার দেওয়া কতটা সম্ভব (Teachers Raising Question Against Govt Decision of Giving Chicken and Fruit in Mid Day Meal) ?

এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক মত পোষণ করেছে বিরোধীরা । তাদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই এত আয়োজন । তবে সেই মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । কিন্তু এবার প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকরাও । তাঁদের মতে, সরকারের এই ভাবনা যে যথেষ্ট ভালো তাতে সন্দেহ নেই । কিন্তু বাজারদরের দিকে তাকিয়ে তো ভাবতে হবে ।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর কথায়, "সরকারি এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি । তবে এই নির্দেশিকার মাধ্যমে প্রমাণিত হল, এতদিন যে মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) দেওয়া হত সেখান থেকে পড়ুয়ারা পুষ্টিকর কোনও খাবার পেত না । আর যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা কখনওই বাস্তবে সম্ভব নয় ৷ আমরাও চাই পড়ুয়ারা এই পুষ্টিকর খাওয়ার পাক । কিন্তু বর্তমান বাজারদরে তা কি আদৌ সম্ভব ? আমার একটাই অনুরোধ, এই ভাবনাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি এই অর্থ আরেকটু বাড়ানো উচিত । এই পুষ্টিকর খাবার যদি দেওয়া হয়, তবে কোনওরকম ভেদাভেদ না-করে তা সমস্ত শ্রেণির পড়ুয়াদের দেওয়া উচিত ৷"

প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতি বলেন, "রাজ্য সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তা দেখতে গেলে প্রতি পড়ুয়া পিছু সপ্তাহে পড়ছে তিন টাকা করে । সেখানে দাঁড়িয়ে যা দেওয়া হচ্ছিল তার সঙ্গে মরশুমি ফল, মাংস কীভাবে দেওয়া সম্ভব ? আমরা বহুদিন ধরে দাবি জানাচ্ছি, হয় আমাদের এই মিড-ডে মিল থেকে অব্যাহতি দিন নাহলে উপযুক্ত টাকা বরাদ্দ করে তারপর ব্যবস্থা করুন ৷ কারণ দিনের পর দিন এই মিড-ডে মিল একটা যন্ত্রণায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে । আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, পড়ুয়ারা পুষ্টিকর খাওয়ার পাক । তার জন্য যতটা অর্থ দরকার তা বরাদ্দ করা হোক ।"

আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত ভোটের আগে চমক ! মিড-ডে মিলের মেনুতে এবার মাংস ও ফল

মিড ডে মিলে চিকেন ও ফল দেওয়ার জন্য মাথাপিছু 20 টাকা বরাদ্দ করায় শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া

কলকাতা, 6 জানুয়ারি: পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে চারমাসের জন্য বাড়ানো হচ্ছে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ অর্থ । স্কুল শিক্ষা দফতরের বৃহস্পতিবারের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিড-ডে মিলে যুক্ত হবে মুরগির মাংস, ডিম ও ফল । টানা 16 সপ্তাহ সরকারি উদ্যোগে পড়ুয়ারা পাবে পুষ্টিকর এই খাবার । এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে অতিরিক্ত 371 কোটি 90 লক্ষ 78 হাজার 400 টাকা । কিন্তু বর্তমানে যা বাজারদর তাতে এই টাকায় কি আদৌ সম্ভব এত কিছু ? সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । পোল্ট্রির ডিম 13 টাকা জোড়া, পোল্ট্রির কাটা মুরগির মাংস 200 টাকা ও গোটা 140 টাকা কিলো । ফলে সেখানে দাঁড়িয়ে এই পড়ুয়াদের মাথাপিছু যদি 20 টাকা করে ধরা হয়, তাহলে এই খাবার দেওয়া কতটা সম্ভব (Teachers Raising Question Against Govt Decision of Giving Chicken and Fruit in Mid Day Meal) ?

এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক মত পোষণ করেছে বিরোধীরা । তাদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই এত আয়োজন । তবে সেই মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । কিন্তু এবার প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকরাও । তাঁদের মতে, সরকারের এই ভাবনা যে যথেষ্ট ভালো তাতে সন্দেহ নেই । কিন্তু বাজারদরের দিকে তাকিয়ে তো ভাবতে হবে ।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর কথায়, "সরকারি এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি । তবে এই নির্দেশিকার মাধ্যমে প্রমাণিত হল, এতদিন যে মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) দেওয়া হত সেখান থেকে পড়ুয়ারা পুষ্টিকর কোনও খাবার পেত না । আর যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা কখনওই বাস্তবে সম্ভব নয় ৷ আমরাও চাই পড়ুয়ারা এই পুষ্টিকর খাওয়ার পাক । কিন্তু বর্তমান বাজারদরে তা কি আদৌ সম্ভব ? আমার একটাই অনুরোধ, এই ভাবনাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি এই অর্থ আরেকটু বাড়ানো উচিত । এই পুষ্টিকর খাবার যদি দেওয়া হয়, তবে কোনওরকম ভেদাভেদ না-করে তা সমস্ত শ্রেণির পড়ুয়াদের দেওয়া উচিত ৷"

প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতি বলেন, "রাজ্য সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তা দেখতে গেলে প্রতি পড়ুয়া পিছু সপ্তাহে পড়ছে তিন টাকা করে । সেখানে দাঁড়িয়ে যা দেওয়া হচ্ছিল তার সঙ্গে মরশুমি ফল, মাংস কীভাবে দেওয়া সম্ভব ? আমরা বহুদিন ধরে দাবি জানাচ্ছি, হয় আমাদের এই মিড-ডে মিল থেকে অব্যাহতি দিন নাহলে উপযুক্ত টাকা বরাদ্দ করে তারপর ব্যবস্থা করুন ৷ কারণ দিনের পর দিন এই মিড-ডে মিল একটা যন্ত্রণায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে । আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, পড়ুয়ারা পুষ্টিকর খাওয়ার পাক । তার জন্য যতটা অর্থ দরকার তা বরাদ্দ করা হোক ।"

আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত ভোটের আগে চমক ! মিড-ডে মিলের মেনুতে এবার মাংস ও ফল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.