কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষকদের বিক্ষোভ রাজপথে (Teachers Agitation on Teacher's Day) ৷ একাধিক অভিযোগ নিয়ে সোমবার তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হন (Teachers Agitation in College Square) ৷
স্বাধীনতার 75 বছর পরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ না করায় শিক্ষকদেরকেই স্কুল খোলা, বন্ধ করা, পরিষ্কার করা, মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) চালানো ইত্যাদি কাজগুলো প্রতিদিন করতে হয়। শ্রেণি ভিত্তিক শিক্ষক নেই। রাজ্যে 1 লক্ষ 38 হাজার শিক্ষক পদ শূন্য। বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে 1 থেকে 2 জন শিক্ষক নিয়ে চলছে। আবার ভোটের কাজ, জনগণনা ইত্যাদি শিক্ষাদান বহির্ভূত কাজ তাঁদের নিয়েই সারা বছর করানো হয়।
বাস্তবে শিক্ষাদানটাই গৌণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, পাশ-ফেল না থাকায়, অভিভাবক ও সমাজ সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিদ্যালয়গুলো ছাত্রাভাবে ধুঁকছে এবং বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় 7 হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। অথচ তার সমূহ দায় শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিলেবাস প্রণয়ন, নিয়োগ, বদলি-সহ শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার কোনওক্ষেত্রেই শিক্ষকদের কোনও মতামত নেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বন্দিদের গলায় আবৃত্তি-গান, অন্য ছবি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে
কেবলমাত্র সরকারি হুকুম তালিম করা তাঁদের কাজ। কেন্দ্রীয় হারে বেতন তো দূরের কথা এমনকী এহেন অগ্নিমূল্যের বাজারেও ডিএ প্রদানের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায় পর্যন্ত মানা হয়নি। শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দাস অবসরের 3 বছর পরও পেনশন না পেয়ে গত 16 অগস্ট আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। আজকের সভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে তাঁর পরিবারের হাতে দ্রুত পেনশন প্রদানের দাবি করা হয় ৷
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি জন্য সর্বস্তরের শিক্ষক সমাজকে কালিমালিপ্ত হতে হচ্ছে। তার ওপর শিক্ষকদের প্রতি অশালীন মন্তব্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাস্তবে সরকার সারা বছর শিক্ষকদের মর্যাদা হানি করে শিক্ষক দিবসের দিন লোক দেখানো সম্মান জ্ঞাপনের অনুষ্ঠান করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ট্রেন বাতিলের প্রতিবাদে প্রায় 3 ঘন্টা রেল অবরোধ খন্যান স্টেশনে