কলকাতা, 28 এপ্রিল : মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সামনে ফের উত্তেজনা। এবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিক্ষকেরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ নামে এক সংগঠনের নেতা মইদুল ইসলামকে গতকাল মারধর করে । এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখায় সংগঠনের সদস্যরা । পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয় । সংগঠনের অভিযোগ, মহিলা পুলিশ ছাড়াই শিক্ষিকাদের উপর আক্রমণ করে হয়েছে।
গতকাল ডায়মন্ডহারবারের গুরুদাস নগরে প্রচারে যান বামপ্রার্থী ফুয়াদ হালিম। সেখানে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন ফুয়াদ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিকের দপ্তর । ঘটনায় খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের অন্যতম নেতা মইদুল ইসলাম ঘটনাস্থানে যান। অভিযোগ, তিনিও আক্রমণের শিকার হন । তাঁকেও মারধর করা হয় । এমন কী তাঁর স্কুটারও ভাঙচুর করা হয়। পরে মহিদুলকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় । অভিযোগ, এই ঘটনায় কোনও FIR নিতে চায়নি ডায়মন্ডহারবার থানা ।
এরই প্রতিবাদে আজ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর ঘেরাও করে শিক্ষিক ঐক্য মঞ্চ। মঞ্চের ২৫ জন কর্মী আজ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। প্রাথমিক ভাবে কয়েকজনকে আটক করা পুলিশ । পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় । মহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে।
মহিদুল ইসলাম বলেন, "গতকাল বামপ্রার্থী ফুয়াদ হালিমের মিছিলে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আমি এর প্রতিবাদ করি । পুলিশকেও এবিষয়ে আমি বলি। এরপরও তারা আমাকে মারধর করি। আমার স্কুকার ভেঙে পুকুরে ভেঙে ফেলে দেয় ওরা। এই সব কিছু পুলিশ ও নির্বাচন অধিকারিকের সামনে হয়। এরপরও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ডায়মন্ড হারবার থানায় আমি FIR করতে গেছিলাম। কিন্তু আমার অভিযোগ পুলিশ নেয়নি । তাই আজকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে আমি এর বিচার চাইতে এসেছি ।"