কলকাতা, 20 এপ্রিল: ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। কেন অয়ন অভিজাত গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন শ্বেতাকে ? কীভাবেই বা তাঁদের আলাপ ? সিনেমা বানানোর কথা ভেবেছিলেন অয়ন ? এমনই একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল শ্বেতা চক্রবর্তীকে ঘিরে ৷ যদিও সিজিও থেকে এদিন বেরনোর সময় শ্বেতা খোলসা করেননি কিছুই ৷ বরং জানিয়েছেন তদন্তের স্বার্থে ইডিকে তিনি সাহায্য করবেন ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পেয়ে এদিন সকাল সাড়ে দশটায় ইডি দফতরে আসেন অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। এরপর প্রায় ছয় ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন শ্বেতা ৷ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে শ্বেতা চক্রবর্তী বলেন, "ওরা (ইডি) আমাকে ডেকেছিল, তদন্তের স্বার্থে আমি যথা সম্ভব সাহায্য ওদের করেছি। আশা করি আমাকে আর আসতে হবে না।"
এরপরই এদিন আচমকা সংবাদ মাধ্যমের উপরেও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে ৷ তিনি কার্যত ক্ষোভের সুরে বলেন, "দয়া করে আপনারা কোনও বিভ্রান্তিমূলক এবং কুরিচিকর কথা প্রচার করে কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করবেন না।" যদিও কোন প্রসঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করলেন, তা খোলসা করেননি শ্বেতা ৷ উল্লেখ্য, বুধবারই অয়নের বাবা ও মা'কে একপ্রস্থ জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা ৷ ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালানোর পর 32টি'রও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। তার মধ্যে অয়ন শীলের বাবা আর মায়ের নামেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷ সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডি-র ৷
আরও পড়ুন: নেতারা নন, পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করবেন গ্রামের মানুষই: অভিষেক
এরপরই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বান্ধবীকে জেরা করল ইডি ৷ সূত্রের খবর, অয়ন শীলের স্ত্রী এবং ছেলেকেও তলব করেছে ইডি ৷ উল্লেখ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ যদিও অয়নকে গ্রেফতারের পর ইডির তরফে বিষ্ফোরক দাবি করা হয়, শুধু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়, রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও অয়ন শীলের হাত ছিল পুরদস্তুর ৷