কলকাতা, 25 নভেম্বর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভায় নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Suvendu Adhikari in Mamata Banerjees Cabin at Assembly) ৷ গত 19 ডিসেম্বর 2020 সালে তৃণমূল ত্যাগের পর শুক্রবার প্রথমবার শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভায় নিজের ঘরে ডাকেন মমতা ৷ তবে, কী নিয়ে এই সাক্ষাৎ, তা বলতে চায়নি কোনও পক্ষই ৷ আগামিকাল সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে এদিন বিধানসভায় বক্তব্য পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা ৷ এর পরেই শুভেন্দু-সহ বিরোধী দলের 3 বিধায়ককে নিজের ঘরে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
বিধানসভায় সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে মুখ্য়মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা দু’জনেই বক্তব্য রাখেন ৷ সেই বক্তব্যের মাঝেই এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে, কী কারণে এই তলব ? তা নিয়ে সাক্ষাৎ শেষে শুভেন্দু কিছুই বলতে চাননি ৷ তিনি জানিয়েছেন, কেবলই সৌজন্য সাক্ষাৎ ৷ প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরূপ বিশ্বাসকেও তাঁর ঘরে ঢুকতে দেখা যায় ৷ আর তাঁর কিছুক্ষণ পরেই, মুখ্য়মন্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সঙ্গে ছিলেন, বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন 1950 সালে তৈরি হওয়া ভারতীয় সংবিধানকে প্রণাম জানিয়ে ৷ সেই সঙ্গে সংবিধানে উল্লেখ করা প্রতিটি শব্দকে রত্ন হিসেবে উল্লেখ করেছেন মমতা ৷ সেই সূত্রে, সমানাধিকারের কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আর সংবিধানের সমানাধিকার ভারতীয়দের জন্য গর্ব বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: মমতার অহংকারের পতন, শুভেন্দু-সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষ মালব্যর
প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্য পেশের সময় শাসক শিবিরের তরফে হইচই শুরু হয় ৷ সেখানে তৃণমূল বিধায়কদের থামিয়ে দেন মমতা ৷ এর পরেই শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে বিরোধীদের প্রতি শাসকদলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ সংবিধান দিবসের ভাষণে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা একটা নজির সৃষ্টি করুক ৷ সংবিধান মেনে নির্বাচন হোক ৷ এটা সমালোচনা না-ভেবে, ইতিবাচকভাবে নেওয়া হোক ৷’’
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এখানেই থামেননি ৷ সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে ভাষণে, সমান অধিকার নিয়ে বলার সময় প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ব্রাত্য রাখা নিয়ে সওয়াল করেন শুভেন্দু ৷ তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘প্রশাসনিক সভায় কেবলমাত্র শাসকদলের বিধায়কদের ডাকা হয় ৷ এবার থেকে প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে সবাইকে ডাকা হোক ৷ বিধায়ক বিধায়কই হয় ৷ অবশ্যই তাঁর একটা দলীয় তকমা আছে ৷ কিন্তু, তিনি বিধায়ক ৷ প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে আমরা-ওরা বন্ধ হোক ৷’’