কলকাতা, 4 অগস্ট: পুলিশের গাফিলতির কারণেই শুক্রবার সকালে বেহালা চৌরাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিকের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের ৷ এই ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ৷ এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিজেপি দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ করা উচিত, গলায় গামছা দিয়ে ওনার পদত্যাগ করা উচিত ৷"
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, পুলিশকে তৃণমূলের কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছেন । তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে পুলিশ শুধুমাত্র একটি পরিবারকেই সুরক্ষা দেয় এবং তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার এবং তাঁর ভাইপোকে । শুভেন্দুর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রীও । তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সাত হাজার পুলিশ রয়েছেন এবং তাঁর ভাইপোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা আছে । রাজ্য পুলিশের শুধু দুটো কাজ । তৃণমূলের হয়ে ভোট কর্মসূচি সফল করা এবং ব্যাপকভাবে তোলা আদায় ।"
আরও পড়ুন: বেহালার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের থেকে নিলেন খোঁজ
আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি । এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে জানান, অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের একজন জনপ্রিয় আইনজীবী । অন্যদিকে তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেস সাংসদ । যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তবে অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত । শুভেন্দুর কথায়, "আমাকে ইডি ডাকেনি, ওনাকে ডেকেছে । তাহলে ডাল মে কুচ কালা হ্যায় ।"
আরও পড়ুন: রোজভ্যালি থেকে লাভবান লকেট ! ইডিতে অভিযোগ তৃণমূলের, পালটা চ্যালেঞ্জ সাংসদের
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কে শুভেন্দু বলেন, "কিছু বিষয়ে ভালো পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল । কিন্তু রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কথা শুনছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজভবনের পিস রুম থেকে যে অভিযোগগুলো গিয়েছিল সেই বিষয় কিছুই করা হল না । একটা অভিযোগেরও সুরাহা করা হয়নি । রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না । রাজ্যপালের একটা পথ বার করা উচিত ।" যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাজ্যপাল নিয়ে আইনের মধ্যে থেকেই এই নির্দেশ দিয়েছেন । আচার্য হিসাবে তাঁর এই ক্ষমতা রয়েছে । রাজ্যপাল শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজনীতি মুক্ত করতে চান । যেভাবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তৃণমূলের পার্টি অফিস করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাকে আটকাচ্ছেন রাজ্যপাল । আগের রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল আটকে দিয়েছিলেন, বর্তমান রাজ্যপাল সেটা করার চেষ্টা করছেন ।