কলকাতা, 4 এপ্রিল : "দেশের জন্য বিপজ্জনক BJP সরকার। সেই সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি সরকার দেশদ্রোহী সরকার।" সাংবাদিক বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে একথা বললেন CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
গতকাল শিলিগুড়ি ও কলকাতায় পরপর দুটি জনসভা করেন মোদি। এই নিয়ে সূর্যকান্তবাবু বলেন, "ব্রিগেডকে দূষিত করেছেন। এর আগেও সমাবেশের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডের প্যারেড গ্রাউন্ডকে অপমান করেছেন। ওখানে যে সেট বানানো হয়েছে, তার অনুমতি ছিল কি না, সেটা আমরা জানি না। এর আগে কোনও জনসমাবেশ এই ভাবে সেট বানিয়ে হয়েছে বলে আমার মনে পড়ছে না। মোদির জনসমাবেশ এবং এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসমাবেশ যোগ করে যা হবে, তার থেকে বেশি মানুষের জমায়েত হয়েছিল বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে। বৃহত্তর ব্রিগেড হয়েছিল সেদিন। সেটা আজ প্রমাণ হল। মোদির ব্রিগেড সমাবেশ ফ্লপ শোয়ে পরিণত হল।"
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব যে অনেক বেশি সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সূর্যকান্তবাবু নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, "তৃণমূলের নৌকা ডুবছে। আপনার নৌকা ডুবছে। আপনি সেই ডুবন্ত নৌকার ফুটো মেরামতের কাজ করে চলেছেন। সাতটা ব্যাগে সোনা-সহ ভাইপোর স্ত্রী ধরা পড়ল। কাস্টমসের FIR করতে এতদিন সময় লাগল কেন? সারদার টাকা ফেরত দিতে পারেননি। এবিষয়ে কোনও তদন্ত করতে পারেননি আপনি ?"
সূর্যবাবু বলেন, "এটা চৌকিদারের সঙ্গে দাগিদের লড়াই নয়। কারণ সবচেয়ে বড় দাগি স্বয়ং মোদি। ৩০ হাজার কোটি টাকার রাফাল কেলেঙ্কারিতে জড়িত মোদি সরকার। ওরাই দেশের সবচেয়ে বড় চোর। তৃণমূলের দাগিরা BJP-র লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই নারদ-সারদায় যুক্ত। মোদি তাঁর ভাষণে নীরব মোদি এবং মেহুল চোকসি সম্পর্কে একটিও কথা বলেননি। বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ করেননি। উপরন্তু এক কোটি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। ৪৫ বছরে বেকারত্বের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছেন মোদি। দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও নাগরিকের অধিকার আক্রান্ত।"
সূর্যকান্তবাবু আরও বলেন, "মোদি যে সব স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা বলছেন, তাঁরা কী ভারত দেখতে চেয়েছিলেন, আর প্রধানমন্ত্রী কী আমাদের উপহার দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস আর BJP-র নৌকা ডুববে। আগে আর পরে। মে মাসের শেষে নরেন্দ্র মোদি আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। ধর্মনিরপেক্ষ সরকার দিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত হবেই।"