কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: 15 বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল (Scrapping of 15 years old cars) করার ক্ষেত্রে আপাতত স্বস্তি মিলল রাজ্য ও বেসরকারি গাড়ির মালিকদের । ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশিকার উপর জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (SC Stays NGT Order)। জানা গিয়েছে, আগামী মাসের শেষের দিকে পড়তে পারে পরবর্তী শুনানির তারিখ (Supreme court stays National Green Tribunal order)।
গ্রিন ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসার পরেই বেসরকারি গাড়ির মালিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন । বিশেষ করে বেসরকারি বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকরা নির্দেশিকা নিয়ে আপত্তি তোলেন । এই নিয়ে একাধিক সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয় । পাশাপাশি গত জুলাই মাসে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার । বিচারপতি সঞ্জয় কিষেন কওল ও বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে ইতিম্যেই মামলা দায়ের করেছে । সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, "আমরা এই বিষয়ে মামলা করেছি । আগামী 13 ডিসেম্বর প্রথম শুনানি । সুপ্রিম কোর্ট যে স্থগিতাদেশ জারি করেছে তাতে আপাতত স্বস্তি মিললেও সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানিতে কী হয় সেটাই এখন দেখার ।"
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রাথমিকভাবে আদালত মনে করেছে যে, আগামী 6 মাসের মধ্যে 15 বছরের লক্ষ লক্ষ গাড়ি বাতিল করা শুরু হলে পরিবহণ ব্যবস্থায় সমস্যা হবে । শুধু তাই নয়, যাত্রীরা রাস্তায় বেরিয়ে ব্যাপকভাবে গাড়ির অভাব বোধ করবেন । যে নিয়ম সারা ভারতে কার্যকরী হল না, সেই নিয়ম তড়িঘড়ি আমাদের রাজ্যে শুরু করার ক্ষেত্রে যে বাস্তবসম্মত কিছু সমস্যা রয়েছে সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ।"
আরও পড়ুন: ছ’মাসের মধ্যেই বাতিল 15 বছরের পুরনো সব গাড়ি, নির্দেশ গ্রিন টাইবুনালের
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বার সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শহর ও শহরতলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য 2009 সাল থেকে এই নিয়ম চালু হয় । তবে রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় এখনও অনেক পুরনো গাড়ি চলে ৷ তবে শহরের প্রাণকেন্দ্রকে দূষণমুক্ত রাখতে এ বার কোমর বেঁধেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর । প্রতিদিনই পুরনো গাড়ি বাতিল হচ্ছে । এ ভাবে 2023-24 সালের মধ্যে হাজার হাজার বাস ও মিনিবাস বাতিল হয়ে যাবে । তাই এই স্থগিতাদেশ সাময়িকভাবে স্বস্তি দিলেও এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয়, সেই দিকেই আমাদের নজর থাকবে ।"