কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: আইসিসিইউ থেকে বের করা হল 'কালীঘাটের কাকু'কে ৷ মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুপুরে 3 সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক হয় ৷ সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অ্যাঞ্জিগ্রাফি রিপোর্ট ও আরও বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয় ৷ বৈঠক শেষে আইসিসিইউ থেকে কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে ৷
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ৷ তবে গ্রেফতার হওয়ার বেশ কিছুদিন পরেই বুকে প্রবল ব্যথা অনুভব করেন তিনি ৷ তখন তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয় ৷ তিনি 112 দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
অন্যদিকে, তাঁর গলার স্বর পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য কোনওভাবেই সেই পরীক্ষা করা যাচ্ছে না ৷ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অবস্থা স্থিতিশীল হলে এবং হাসপাতালের তরফ থেকে সবুজ সংকেত মিললেই তাঁকে জোকা ইএসআইতে নিয়ে গিয়ে গলার স্বর পরীক্ষা করা হবে ৷ ইতিমধ্যে জোকার ইএসআইতেও একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয় ৷
কিছুদিন আগে জোকার ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ তবে তার আগে দিন রাতে আচমকাই প্রবল শ্বাসকষ্ট হয় সুজয়কৃষ্ণের ৷ সেই সময় ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ কিন্তু শেষমেশ জোকা যাওয়া হয়নি সুজয়কৃষ্ণের।
আইসিইউতে ভর্তি থাকায় সেদিন জোকা ইএসআইতে নিয়ে যাওয়া হয়নি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন ইডি আধিকারিকও ৷ যদিও বর্তমানে আইসিইউতে তাঁকে রাখার দরকার নেই বলেই মনে করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ৷ এরপর মঙ্গলবার রাতে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হল ৷ এবার কি তবে জোকা ইএসআইতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি দেখা যাবে ? কবেই বা যেতে পারবেন তিনি গলার স্বর পরীক্ষা করাতে ? প্রশ্ন সেটাই ৷
আরও পড়ুন: