কলকাতা, 22 অগস্ট: ফের হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে ভরতি হন তিনি। 11 নম্বর কেবিনে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই ইসিজি করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। মঙ্গলবার সকালেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাইপাস সার্জারি করে ছুটি পেয়েছিলেন ৷ তখন ফের তাঁকে নিয়ে আসা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কিছু ঘণ্টা পরেই ফের বুকে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের একটি সংস্থায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র গোয়েন্দারা। মূলত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে তৃণমূলের একজন শীর্ষ বিধায়কের যোগাযোগের কথা জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি তিনি একাধিক কোম্পানির দেখাশোনা করতেন। এর আগেও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিন যখন তাঁকে অসুস্থতার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেন ৷ অক্সিজেন মাস্ক খুলে কুরুচিকর মন্তব্য শোনা যায় 'কালীঘাটের কাকু'র মুখে।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের অভিযোগে 3 ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার বিশ্বভারতীর
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বুকে ব্যথাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলেছিল। এসএসকেএম হাসপাতালে নিজের অস্ত্রোপচার করাতে নারাজ ছিলেন তিনি। তাঁর এই অসুস্থতার জেরে মামলার জলও বহুদূর এগিয়ে ছিল। হাইকোর্ট একজন চিকিৎসক কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রিপোর্ট দেখেই জানা যায়, অস্ত্রোপচার করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরবর্তীকালে বেসরকারি হাসপাতালেই বাইপাস সার্জারি করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। তবে তাঁকে কিছুদিন নিয়ম ও সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে। কিন্তু কিছু ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই ফের অসুস্থ হলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
আরও পড়ুন: কিংপিন সৌরভকে বাঁচাতে তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, জানালেন সরকারি আইনজীবী