কলকাতা, 19 নভেম্বর: "রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে 1 হাজার কোটি টাকারও অঙ্কের বেশি দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) হয়েছে ! অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, আর যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন ! ঘুর পথে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে ৷" শনিবার প্রজেক্টরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তথ্য-সহ এই দাবি করল বঙ্গ সিপিএম ৷ তাদের অভিযোগ, সরকার তার বাহিনী কাজে লাগিয়ে লুঠ করেছে ! লটারির মতো ব্যবস্থাপনাকে হাতিয়ার করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে !
এদিন বঙ্গ সিপিএম-এর সদর দফতর মুজাফফর আহমেদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ৷ তিনি নিয়োগ দুর্নীতি ও এই সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে একাধিক তথ্য তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরূদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ৷ সুজন বলেন, "1 হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে ৷ আমার ধারণা, প্রায় 4 হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে ৷ রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্র এখন ধ্বংসের মুখে ৷ শিক্ষক নেই ৷ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে ৷ 1 হাজার পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সাত থেকে আটজন শিক্ষক ! উলটো দিকে, এমন জায়গাও আছে, যেখানে পড়ুয়া এবং শিক্ষকের সংখ্য়া সমান ! শিক্ষার আগ্রহ কমুক, সকলে বেসরকারি স্কুলে চলে যাক, সরকার পরিকল্পিতভাবে এই মনোভাব নিয়েই চলছে ৷ শিক্ষার প্রতিটি মাথা এখন জেলে ৷ এদিকে, যাঁরা যোগ্য, তাঁদের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে !"
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের 16 জন স্কুল সাব-ইন্সপেক্টরকে তলব সিবিআই-এর
এরপরই রাজ্যবাসীকে বর্তমান সরকারের বিরোধিতায় একজোট হওয়ার বার্তা দেন সুজন ৷ বলেন, "ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি জটিল করা হচ্ছে ৷ শিক্ষায় সচ্ছতাই এখন ব্রাত্য (প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নামও ব্রাত্য বসু !) আর মাত্র দেড় থেকে দু'বছর এই সরকারের মেয়াদ আছে ৷ সকলের কাছে অনুরোধ, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ুন।"
এরপরই বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন সুজন ৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় দাবি করেছিলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় 2 লক্ষ 50 হাজার ৷ যদিও সুজনের দাবি, বাস্তবে এই সংখ্য়াটা আরও বেশি ৷ তাঁর দাবি, অবিলম্বে এই খালি পদগুলিতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জায়গা করে দিতে হবে ৷