কলকাতা, 15 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে । কিন্তু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলদের বহিষ্কার করা হয়নি আজও । যা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস । অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Taunts TMC)।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakrabarty News) বলেন, কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করতে 45 দিন লেগে গেল । আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও দলের অ্যাসেট ভাবা হচ্ছে । আর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করায় তড়িঘড়ি তাঁকে বহিষ্কার করা হল । কারণ, বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য যে দল তার নাম তৃণমূল । শান্তনু বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তিনি দিল্লিতে গিয়েছিলেন । এই খবরটা পাওয়ার পরই তৃণমূল শান্তনুকে তাড়িয়েছে বলে দাবি করেন সুজন ৷
তাঁর আরও অভিযোগ, "তৃণমূলের গিঁটে গিঁটে অপরাধ জড়িয়ে গিয়েছে । তিনি অনুমতি ভাইপোর থেকে পেয়েছিলেন তাই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন । কেন ওকে আগে সাসপেন্ড করেনি ? জেনে শুনে ডিএম কেন চুপ করেছিলেন । সব বেরোবে । কালীঘাট না ক্যামাক স্ট্রিট, কোথা থেকে ফোন গিয়েছিল ?"
আরও পড়ুন: অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের গ্রেফতারির পরে ইডির স্ক্যানারে সুকন্যা সহ 12 জন
কৌস্তভ বাগচীর মামলা প্রসঙ্গে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ যথার্থ । লুম্পেনদের রাজত্ব চলছে । কৌস্তভ বাগচীর এই রায় যথার্থ । মাঝরাতে অতিসক্রিয় ছিল পুলিশ । কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নিশ্চিত বিক্ষোভ হবে । তবে এই রাজ্যের পরিস্থিতি ভিন্ন । অন্য রাজ্য পারলে এই রাজ্য পারছে না কেন ।
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের দিল্লি হাজিরা এড়ানোর বিষয়ে সুজনের বক্তব্য, "অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে অনেক ছোট, তাঁর কথা বলতে খারাপ লাগছে । কিন্তু তাঁর নামে সম্পত্তি তাঁকে তো জবাব দিতেই হবে । লুটের টাকা ধরা পড়বেই । এড়িয়ে যাওয়া সঠিক হচ্ছে না ৷"
সুজনের কটাক্ষ, "কাকু ডাক পেয়েছে । ভাইঝি খারিজ হয়েছে । ধীরে ধীরে এ বার কালীঘাটের দিকেই যাচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধের শরিক হয়েছেন ।" বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধীরা একসঙ্গে অভিযোগ জানালেও তৃণমূল কেন তাদের সঙ্গে থাকছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন সুজন চক্রবর্তী ৷