কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথায় বসবে সিসিটিভি ? এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে পড়ুয়াদের । তারপরেই সিসিটিভি বসবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ! শুক্রবার যাদপুরের অল স্টেক হোল্ডারদের বৈঠকের পর এরকমই দাবি উঠেছে ছাত্রদের তরফে ৷ শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অল স্টেক হোল্ডার মিটিংয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল । উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সেই মিটিং ।
তবে সেই মিটিংয়ের পরেই পড়ুয়াদের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক । তবে এর পাশাপাশি প্রাক্তন সেনা কর্মীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কাজে বহাল করার যে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল তার বিরোধিতা করেছে সবকটি ছাত্র সংগঠন ৷ এদিনের সিসিটিভি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, "সিসিটিভি নিয়ে ইউজিসি যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তা সকলে মানতে চায় । কিন্তু মনিটর কারা করবে এবং কোথায় বসানো হবে তা নিয়ে স্টেক হোল্ডার হিসাবে ছাত্রদের জানাতে হবে । আজকে বললে কালকেই তো সিসিটিভি বসবে না । আমরা ওয়েবেলকে দায়িত্ব দিয়েছে মোটামুটি 15 দিন সময় লাগবে ।"
তবে আর্টস ফ্যাকাল্টি সংগঠনের এক ছাত্র অনুস্টুপ চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, "হোস্টেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে সিসিটিভি বসলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই ৷ কিন্তু স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট সিসিটিভি বসানো হবে বলা হচ্ছে । সেগুলি কোন কোন জায়গা, তা আগে আমাদের লিখিত আকারে জানানোর পরই সিসিটিভি বসাতে হবে ।" যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের চেয়ারপার্সন সঞ্জীব প্রামাণিক জানিয়েছেন, "সিসিটিভি নিয়ে বর্তমানে বিরোধিতা কেউ করছে না । তবে কোথায় সিসিটিভি বসবে তা পড়ুয়াদের জানাতে হবে বলে দাবি উঠেছে । আমরা প্রথম থেকে সিসিটিভির পক্ষে । তবে আমরা প্রাক্তন সেনা কর্মীদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা মানছি না । এটা সম্পূর্ণ রাজ্যপাল ও বিজেপির চক্রান্ত । আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বভারতী করতে দেব না ।"
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসাতে 37 লক্ষ টাকা বরাদ্দ উচ্চশিক্ষা দফতরের
যদিও এই পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । তিনি এদিন বলেন, "আজ সকল স্টেক হোল্ডাররা তাদের ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন । ফলে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারিনি ।" তবে এর পাশাপাশি উপাচার্য মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা আবেদন দাবি মিডিয়াকে সংযত হতে হবে । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বহু ভুল তথ্য মিডিয়াতে দেখানো হচ্ছে, তা নিয়ে সংযত হতে হবে ৷ যদিও এই নিয়ে পালটা প্রশ্ন করতেই উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন, "মৌখিকভাবে অভিযোগ এসছে পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে । লিখিতভাবে আসার পর আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখব । যদি পড়ুয়ারা তাঁদের দাবি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে পরে প্রকাশ্যে এসে আমি আমার কথা ফিরিয়ে নেব ।"