ETV Bharat / state

JU Student Death Case: হস্টেল ছাড়ছেন পড়ুয়ারা, যাদবপুরের ঘটনায় ভিড় বাড়ছে আশপাশের মেস-পিজিতে - যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

Students are leaving Jadavpur University Hostel: পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কে বাকি পড়ুয়ারা ৷ হস্টেল ছেড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া ৷ ফলে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন মেস-পিজিতে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Aug 19, 2023, 8:56 PM IST

হস্টেল ছাড়ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

কলকাতা, 19 অগস্ট: হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু । মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উঠছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে 12 জন প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া । এই ঘটনাতে হস্টেলকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পড়ুয়া । সেই আতঙ্কের জেরে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন মেস-পিজির দিকে ঝুঁকছে বেশিরভাগ পড়ুয়া ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট থেকে 5 মিনিটের হাঁটাপথ ৷ দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি ভাড়া দেন অর্জুন রায় । 12 জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে তাঁর মেসে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র তাঁর মেসে থাকেন । প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থাকার আবেদন নিয়ে ফোন এসেছে বহু ছাত্রের তরফে । মেস মালিক বলেন, "কেউ চাইবে না মেধাবী ছাত্রটিকে নিয়ে গিয়ে বিপদে ফেলে দিতে । হস্টেলের এই ট্র্যাডিশন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে । যা চলছে এইসব সাময়িক, রাজনীতি । যাদের সামর্থ্য নেই তারা ধার করে হলেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ।" একই কথা শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকা অন্যান্য মেসগুলি থেকেও ।

যাদবপুর রেলস্টেশন থেকে মাত্র তিন মিনিট দূরেই রয়েছে আরও একটা পিজি । সেখানেও দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা থাকেন । তবে ওই ঘটনার পর থেকে ঘরের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে ৷ পিজির মালিক নীলার্দ্ধ দাসের কথায়, বহু ছাত্ররা ভয় পেয়ে যাচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ট্রমা কাজ করছে তাদের মনে । ফলে আর কোনওদিন হস্টেলে থাকব না, এমন একটা ভাবনা তাদের মনে কাজ করছে । এমন ঘটনা ঘটলে কেই বা হস্টেলে থাকবে । তাই বহু ছাত্ররা হস্টেল ছেড়ে দিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে । এ বছরে অত্যাধিক চাপ রয়েছে ।

আরও পড়ুন: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতারির পর মুর্শিদাবাদের হিমাংশুর বাড়িতে তালা, বেপাত্তা পরিবার !

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরও এক মেস মালিকও একই কথা বলছেন। সুলেখা মোড়ে তিনি ঘর ভাড়া দেন। আগে ছাত্র ও ছাত্রী, দু’জনকেই ভাড়া দিতেন ৷ দিনকয়েক আগে থেকে শুধুই ছাত্রদের ভাড়া দিচ্ছেন তিনি ৷ এখন তাঁর বাড়িতে শুধুই ছাত্ররা থাকছেন ৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা ঘটার পর অনবরত ফোন বেজেই চলেছে । প্রথম বর্ষের যে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকছেন তারাই মূলত ঘর চাইছেন।"

তবে এই অবস্থা কেন হল, সে প্রশ্ন উঠছে বারবার । বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । হস্টেল’কে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিভিন্ন স্মৃতি ৷ গড়ে ওঠে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে এক মধুর সম্পর্ক ৷ যে সম্পর্ক বহু চলচ্চিত্রে বারবার উঠে এসেছে । তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরে সমস্তটাই যেন ফিকে, ক্রমশ ভয়টাই জাঁকিয়ে বসছে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে ৷

হস্টেল ছাড়ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

কলকাতা, 19 অগস্ট: হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু । মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উঠছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে 12 জন প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া । এই ঘটনাতে হস্টেলকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পড়ুয়া । সেই আতঙ্কের জেরে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন মেস-পিজির দিকে ঝুঁকছে বেশিরভাগ পড়ুয়া ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট থেকে 5 মিনিটের হাঁটাপথ ৷ দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি ভাড়া দেন অর্জুন রায় । 12 জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে তাঁর মেসে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র তাঁর মেসে থাকেন । প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থাকার আবেদন নিয়ে ফোন এসেছে বহু ছাত্রের তরফে । মেস মালিক বলেন, "কেউ চাইবে না মেধাবী ছাত্রটিকে নিয়ে গিয়ে বিপদে ফেলে দিতে । হস্টেলের এই ট্র্যাডিশন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে । যা চলছে এইসব সাময়িক, রাজনীতি । যাদের সামর্থ্য নেই তারা ধার করে হলেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ।" একই কথা শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকা অন্যান্য মেসগুলি থেকেও ।

যাদবপুর রেলস্টেশন থেকে মাত্র তিন মিনিট দূরেই রয়েছে আরও একটা পিজি । সেখানেও দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা থাকেন । তবে ওই ঘটনার পর থেকে ঘরের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে ৷ পিজির মালিক নীলার্দ্ধ দাসের কথায়, বহু ছাত্ররা ভয় পেয়ে যাচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ট্রমা কাজ করছে তাদের মনে । ফলে আর কোনওদিন হস্টেলে থাকব না, এমন একটা ভাবনা তাদের মনে কাজ করছে । এমন ঘটনা ঘটলে কেই বা হস্টেলে থাকবে । তাই বহু ছাত্ররা হস্টেল ছেড়ে দিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে । এ বছরে অত্যাধিক চাপ রয়েছে ।

আরও পড়ুন: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতারির পর মুর্শিদাবাদের হিমাংশুর বাড়িতে তালা, বেপাত্তা পরিবার !

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরও এক মেস মালিকও একই কথা বলছেন। সুলেখা মোড়ে তিনি ঘর ভাড়া দেন। আগে ছাত্র ও ছাত্রী, দু’জনকেই ভাড়া দিতেন ৷ দিনকয়েক আগে থেকে শুধুই ছাত্রদের ভাড়া দিচ্ছেন তিনি ৷ এখন তাঁর বাড়িতে শুধুই ছাত্ররা থাকছেন ৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা ঘটার পর অনবরত ফোন বেজেই চলেছে । প্রথম বর্ষের যে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকছেন তারাই মূলত ঘর চাইছেন।"

তবে এই অবস্থা কেন হল, সে প্রশ্ন উঠছে বারবার । বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । হস্টেল’কে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিভিন্ন স্মৃতি ৷ গড়ে ওঠে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে এক মধুর সম্পর্ক ৷ যে সম্পর্ক বহু চলচ্চিত্রে বারবার উঠে এসেছে । তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরে সমস্তটাই যেন ফিকে, ক্রমশ ভয়টাই জাঁকিয়ে বসছে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.