কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। মৃত্যু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে থাকা ওই পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, মৃত ওহিদুর রহমান পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন ৷ তিনি এনএস 1 ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন বলে খবর ৷
চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী বলেন, "খুব জটিল অবস্থা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল ওহিদুর ৷ শরীর জুড়ে রক্তক্ষরণ চলছিল। কিডনি, ফুসফুস, লিভার, প্যানক্রিয়াস অচল হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।" জানা গিয়েছে 31 অগস্ট প্রবল জ্বর নিয়ে ওই পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছিল কেপিসি হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে 3 সেপ্টেম্বর স্থানান্তরিত করা হয় বেলভিউ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক অমিতাভ নন্দীর তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয় ওহিদুরকে। প্রায় আটদিন লড়াই চালানোর পর অবশেষে 11 সেপ্টেম্বর দুপুর 3টে 5 মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী থেকে পড়ুয়া সকলেই। পড়ুয়াদের তরফে অভিযোগ উঠেছিল, হস্টেলের বেশ কিছু পড়ুয়া ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু জায়গায় জল জমে থাকছে। অন্যদিকে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউও জানিয়েছিলেন, মশার উপদ্রব কেন, তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরের দিনই বুদ্ধদেব সাউকে দেখা গিয়েছিল সাফাই অভিযানে অংশগ্রহণ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু জায়গা তিনি পরিদর্শন করেন। একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের। তারপরেও কমেনি মশার উপদ্রব।
আরও পড়ুন: ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু কলকাতায়, এবার প্রাণ গেল পুলিশকর্মীর
তবে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজ্যজুড়েই ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব। রোজই মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের 5 নম্বর গেটের ঠিক উলটোদিকে অবস্থিত, মেডিক্যাল কলেজের কর্মী আবাসনের তিনটি ব্লক, সি ব্লক, এ ব্লক, এবং বি ব্লকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জোড়া হানা দিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় 20 জন আক্রান্ত। পাশাপাশি কর্মী আবাসনের কাছেই থাকা মেইন বয়েজ হস্টেলের চারজন ডাক্তারি পড়ুয়াও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।