কলকাতা, 18 জুলাই : প্রজ্ঞা দেবনাথ থেকে আয়েশা জান্নাত মোহনা হয়ে ওঠার মাঝে রয়েছে বেশকিছু অনুঘটক । এ'বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দারা । কারা করেছিল তার মগজ ধোলাই ? কীভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল প্রজ্ঞা ? সেইসব তথ্যই এখন পেতে চাইছেন এ'দেশের গোয়েন্দারা । আর সেই কারণেই হুগলির ধনেখালিতে শুরু হয়েছে নজরদারি । সূত্রের খবর, যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে । প্রয়োজনে সে'দেশে যেতে পারেন ভারতীয় গোয়েন্দারা ।
গতকাল বাংলাদেশের ঢাকার সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আয়েশাকে। 25 বছরের ওই যুবতি হুগলির ধনেখালির কেসবাপুরের বাসিন্দা । তাকে জামাতুল মুজাহিদিন জঙ্গি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে সে'দেশের কাউন্টার টেররিজ়ম এবং ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম (CTTC) । আদালতে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা দাবি করেছে আয়েশা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য ।
তখনও খাগড়াগড় বিস্ফোরণ হয়নি । জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের আমের সালাউদ্দিন, তৎকালীন জামাতুল মুজাহিদিন শীর্ষনেতা হাত কাটা নাসিরুল্লাহ, বোমারু মিজান একটু একটু করে ঘাঁটি গাড়ছে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমান, হুগলিতে । জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের নামেই একটু একটু করে ছড়ানো হচ্ছে জঙ্গিবাদের জাল । মূলত মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করে চলছে মগজ ধোলাই, বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ, জঙ্গি কৌশল শেখানোর কাজ । এমনই এক সময়ে প্রজ্ঞা ইসলাম ধর্ম নেয় । অন্তত বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে এমনটাই দাবি করেছে এই জঙ্গি । তখন থেকেই অনলাইনে ইসলামের ক্লাস শুরু করে সে । সেই সূত্র ধরেই জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের মহিলা শাখার প্রধান আসমানি খাতুনের সংস্পর্শে আসে সে । 2016 সালে আয়েশা প্রথমবার বাংলাদেশে যায় । এরই মাঝে ওমান প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক আমির হোসেন সাদ্দামকে অনলাইনে বিয়ে করে আয়েশা । তারপর থেকেই ঘনঘন যাতায়াত । এরই মাঝে গ্রেপ্তার হয় আসমানি । তখন থেকেই বড় দায়িত্ব নিতে শুরু করে আয়েশা । গত অক্টোবর মাসে আয়েশা নাকি পাকাপাকিভাবে বাংলাদেশে চলে যায় ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের মডিউল অনুযায়ী আয়েশা বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় ক্লাস নিতে শুরু করে । মাদ্রাসায় পড়ানোর সুযোগ নিয়ে কিশোরী যুবতিদের কতটা মগজ ধোলাই করেছে, কাদের মগজ ধোলাই করেছে সে ? এ'রাজ্যের কোন মাদ্রাসার সঙ্গে সে যুক্ত ছিল ? সে'সব কিছুই এখন জানতে চান এদেশের গোয়েন্দারা ।