কলকাতা, 26 নভেম্বর: অবশেষে অর্থ এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়ারে । বেশ কয়েকদফা চিঠি পাঠানোর পর এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন 6 কোটি টাকার ফান্ড দেওয়া হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (state released fund for jadavpur university)।
আগের তুলনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) জন্য কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ । ফলে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে । বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে বেশ কয়েকদফা চিঠি পাঠিয়েছেন বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস । তিন সপ্তাহ আগেও তিনি এই মর্মে আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৷ এরপরেই যাদবপুরের জন্য 6 কোটি টাকার ফান্ড এল রাজ্যের তরফে ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, যে অর্থটি এসেছে তা নন-স্যালারিড খাতে দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পাঠানো চিঠি অনুসারে অতিরিক্ত গ্রান্ট হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ বেতন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কাজ অর্থের অভাবে থমকে রয়েছে সেগুলির জন্য ব্যয় করা যাবে এই অর্থ । তবে যাদবপুরের অধ্যাপকরা মনে করছেন, যে চরম অর্থ সংকটের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, তা এই অর্থে মেটানো সম্ভব নয় (financial trouble for Jadavpur University) ।
আরও পড়ুন: 'নমামি গঙ্গে প্রকল্পে শুধুমাত্র বেনারসেই কাজ হচ্ছে, বাকি রাজ্যে দুর্নীতি হচ্ছে', অভিযোগ সেলিমের
2017 সালের পর থেকেই ধাপে ধাপে কমেছে দেশ তথা রাজ্যের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দেওয়া আর্থিক অনুদানের পরিমাণ । এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও হ্রাস পায় । এর ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ । শুধু তাই নয়, করোনাকালে যখন একটানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়, তখন আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদেরও ।
চলতি বছরে বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ 23 শতাংশ কমেছে । গবেষণার খাতেও টাকা বন্ধ হয়েছে । ইউজিসি'র ডিয়াএস সেপ এর মতো বিভাগীয় গবেষণা প্রকল্প আপাতত বন্ধ । ডিএসটি'র মতো প্রজেক্টsর ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে । জানানো হয়েছে, খরচের 25 শতাংশ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে (JU gets fund from state govt) ।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বাদ দিয়ে বার্ষিক খরচ হয় প্রায় 45 কোটি টাকা (fund for jadavpur university) । চলতি বছরে দুই ধাপে 12 কোটি টাকা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ । তৃতীয় ফেজের টাকা এলে এই সংখ্যা 18 কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে । তাই এই আয় ও ব্যয়ের যে বিপুল ফারাক রয়েছে তা কী করে পূরণ হবে? এই 6 কোটি টাকা কিছুটা হলেও সমস্যা লাঘব করবে, তবে তাতে সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হবে না ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে বিপুল খরচ হয় ।"