কলকাতা, 1 মে : রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যদপ্তর । এই নির্দেশ মানা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।
বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী কেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রয়োজন ৷ একথা জানিয়ে আজ একটি নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর । এই নির্দেশে জানানো হয়েছে, কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে যাঁরা কোরোনায় আক্রান্ত নন , তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন । এক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে । ব্লাড ট্রান্সফিউশন, ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি, শিশুদের চিকিৎসা, হাসপাতালে প্রসব সহ অন্যান্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের । কারণ, রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল অথবা চিকিৎসাকেন্দ্রগুলি হয় অকেজো হয়ে রয়েছে নয় সংক্রমণের ভয়ে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । হাসপাতালে রোগীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোরোনা হয়নি এমন সার্টিফিকেট কয়েকটি হাসপাতালে চাওয়া হচ্ছে । অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে । আজ ওই নির্দেশে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে একথা জানানো হয়েছে ৷ বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতে পরিকল্পনামাফিক পরিষেবা শুরু করা প্রয়োজন ৷ যাতে পর্যায়ক্রমে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে ।
এই নির্দেশে অবশ্য জানানো হয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে । তবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নয়, হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার বিষয়টিও দেখতে হবে । আজকের এই নির্দেশে বলা হয়েছে, পরিষেবা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলি সরকারের এই নির্দেশ মেনে না চললে দণ্ডনীয় অপরাধের দায় নিতে হবে । এক্ষেত্রে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও এই নির্দেশে জানানো হয়েছে ।
এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য বিভিন্ন গাইডলাইন মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে । এই গাইডলাইনগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (PPE) ব্যবহারের বিষয়টি, তেমনই রয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও । কীভাবে কোনও রোগীকে কোরোনা আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহ করা হবে, এই বিষয়েও গাইডলাইন মেনে চলতে হবে । কোরোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর ডায়ালিসিস কীভাবে করতে হবে, তাও আজকের এই নির্দেশে বলা হয়েছে ।