কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: বর্ধিত হারে বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে শনিবার থেকে প্রতীকী অনশন শুরু করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ (Agitation for DA) । সব মিলিয়ে প্রায় 34টি সংগঠনের নেতৃত্বরা ধর্মতলার শহিদ মিনারে অনশন শুরু করলেন। বিভিন্ন জেলাও একই কায়দায় অনশন শুরু হয়েছে বলেই দাবি বিক্ষোভ-অনশনকারীদের । যতক্ষণ না সরকার বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদানের কথা ঘোষণা করছে, ততক্ষণ আন্দোলন ও অনশন চলবে বলেই বক্তব্য তাদের ।
শুধু বকেয়া মহার্ঘভাতা নয়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কয়েক লক্ষ্য শূন্য পদ রয়েছে । সেই সমস্ত শূন্য পদে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছে । আন্দোলনকারীদের যুক্তি, ঠিকা চুক্তির মাধ্যমে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে । যে নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থেরও যোগ রয়েছে । বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সন্দীপ ঘোষ বলেন, "ন্যায্য অধিকার অর্থাৎ নিজেদের হক আদায়ের দাবিতে আমরা অবস্থান শুরু করেছি । আজ প্রতীকী অনশন শুরু হয়েছে । কাল পর্যন্ত চলবে ।"
তিনি জানান, গত 9 দিন ধরে মাঘ মাসের রাতে শহিদ মিনারে পড়ে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা । এই ঠান্ডার মধ্যেও বসে রয়েছে তাঁরা । প্রথম দিন আন্দোলনের যে ঝাঁঝ ছিল আজ তা কয়েকগুণ বেড়েছে । একজন সরকারি কর্মচারীও হতোদ্যম হননি । আগামিদিনে আরও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়বে । ডিএ নিয়েই তবে তারা এই জায়গা থেকে উঠবে বলে জানান (State government employees start symbolic hunger strike demanding DA)।
বিক্ষোভকারীদের আরও বক্তব্য, "কলকাতা হাইকোর্টের বকেয়া-সহ মহার্ঘভাতা মেটানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে । সরকারের পক্ষ থেকে বারে বারে বিভিন্ন অজুহাত দেওয়া হয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের ডিএ-র ফারাক এখন 35 শতাংশ । আর কোনও অজুহাত শোনা হবে না । বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে ৷" গত নয় দিনের মধ্যে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা । দু'ঘণ্টার কর্মবিরতি হয়েছে । মিছিল হয়েছে । তা শুধু কলকাতা নয় । গোটা রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন সরকারি দফতরে দু'ঘণ্টার কর্মবিরতি হয় ।
আরও পড়ুন: ডিএ মেটানোর দাবিতে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মীদের ধর্ণমঞ্চে যোগদান