কলকাতা, 6 এপ্রিল : রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে দুস্থ, গরিব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা ৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বৃহত্তর সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যসামগ্রী ৷
কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শংকর সিংহ বলেন, "রাজ্যের সর্বত্র ত্রাণ বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছ ৷ পরিবার পিছু চাল, ডাল, আলু ও বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি সর্বদা কর্মচারীদের সঙ্গে ও মানুষের পাশে রয়েছে ৷" কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে গঠন করা হয়েছে কোরোনা ত্রাণ তহবিল ৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ও অন্তর্ভুক্ত সমিতির সদস্য ও কর্মী-নেতৃত্বের কাছ থেকে নূন্যতম 500 টাকা হারে অর্থ সংগ্রহ করে দুস্থ পরিবারগুলিকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৷
জলপাইগুড়িতে দুস্থ পরিবারের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ প্রথম দফায় 20টি পরিবারের প্রায় 71জন মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয় ৷ মূলত জেলা শহর, পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত 50টিরও বেশি পরিবারের প্রায় 267জন মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷ এলাকাভিত্তিক সাতটি টিম প্রতিদিন কাজ করছে ৷
দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর, গড়িয়া অঞ্চলের প্রায় 85টি প্রান্তিক, দুস্থ পরিবারের হাতে দুই সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির কেন্দ্রীয়, জেলা নেতৃত্ব জেলার কর্মীবৃন্দ তুলে দিয়েছেন ৷ কাকদ্বীপ, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার মহকুমা ও যাদবপুর অঞ্চল-সহ জেলার সর্বত্র প্রান্তিক ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বণ্টন করা হয়েছে ৷ জেলার প্রায় 500টি পরিবারের কাছে ত্রাণ বণ্টন করা হয়েছে ৷ 11,500 টাকার ত্রাণসামগ্রী হুগলির পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিজয়শংকর সিংহ ৷ রাজ্যের সমস্ত রেল স্টেশনগুলিতেও যতটা সম্ভব ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে ৷ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে ৷ কোরোনা ত্রাণ তহবিলে চাঁদার মাধ্যমে অর্থের জোগান বাড়াচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ৷