কলকাতা, 2 অগস্ট: ন'শো দিন পেরিয়েছে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ । কিন্তু তারপরেও কোন সুরাহা মিলছে না । এরকম পরিস্থিতিতে বুধবার সকাল দশটা নাগাদ এমএলএ হোস্টেলের সামনে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিধানসভায় কথা হয়েছে ৷ তবে তাঁদের নিয়োগ নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তারা ৷ বিধায়করা যাতে তাদের কথা বিধানসভায় আলোচনা করেন এবং তাঁদের নিয়োগ কবে হবে সে বিষয়ে সচেষ্ট হন, তার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা । কিন্তু সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের তরফে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেওয়া হয় ।
এ বিষয়ে আজ বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার আছে । এরকমভাবে গেট আটকে নয় । অনেকে আমায় বলেছে । আমি প্রশাসনকে ব্যাবস্থা নিতে বলেছি । গেট আটকে রেখে কাজের ব্যাঘাত ঘটানো ঠিক নয়।"
এ দিনের বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের হাতে থাকা পোস্টারে তাঁদের দাবি-দাওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। সেগুলি হল, 900 দিন পেরেলেও কেন বিধায়করা তাঁদের কথা বিধানসভায় আলোচনা করছেন না । বিধায়কদের কাছে তাদের অনুরোধ, দ্রুত এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে আওয়াজ তুলুন । স্কুল শিক্ষক ঘাটতি ও সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে আওয়াজ তুলুন । চিতার আগুন লাগছে গায়ে, কত দিন আর ধরব পায়ে?, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই । এরকম একাধিক দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত পোস্টার নিয়ে এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
বিক্ষোভ চলাকালীন বিধানসভার ভিতর থেকে গেটের কাছে চলে আসেন বিজেপি বিধায়কদের একাংশ । বিধায়ক হস্টেল ঘেরাও প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের একাংশ বলেন, "প্রয়োজনে 100 দিন ধরে তারা ঘেরাও থাকতে রাজি আছেন । কারণ, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি-দাওয়া অযৌক্তিক নয় ।" পুলিশের তরফ থেকে এই বিক্ষোভ সরিয়ে নিতে বলা হয় ৷ তবে চাকরিপ্রার্থীরা তাদের বিক্ষোভ সরিয়ে নিতে রাজি হননি। এরপরই পুলিশের তরফ থেকে প্রিজন ভ্যান এবং বেসরকারি বাসে করে চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ বিকাশ ভবনে
এই আটকের মুহূর্তে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে ঢুকে পড়েন। পরে বিষয়টি তিনি বিধানসভার জিরো আওয়ারে অধ্যক্ষের কাছে তুলে ধরেন। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও শংকর ঘোষের বক্তব্যের সমর্থন নিজের বক্তব্য পেশ করেন। তারপরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ৷