ETV Bharat / state

Truck Overload Problem : প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও চলছে ওভারলোডিং, মার খাচ্ছে ছোট ট্রাক ব্যবসায়ীরা

বহনক্ষমতা নির্ধারণ করার পরেও বেশ কিছু ট্রাক অতিরিক্ত মাল বোঝাই করায় বিপাকে পড়ছেন ছোট ও মাঝারি ট্রাক ব্যবসায়ীরা ৷ বেশ কয়েকবার পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান না হওয়ায় ফের তাঁরা এই ওভারলোডিংয়ের (Truck Overload Problem) সমস্যা নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানান ৷

Truck Overload Problem
ওভারলোডিং
author img

By

Published : Apr 21, 2022, 11:03 PM IST

কলকাতা, 21 এপ্রিল : পরিবহণ দফতরে দায়িত্বে আসার পর ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ট্রাক ওভার লোডের সমস্যার কিছুটা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে । তবে বড় সংস্থার ক্ষেত্রে বন্ধ হয়নি এই সমস্যা । এর ফলে মার খাচ্ছে ছোট ও মাঝারি ট্রাক মালিকরা (Small Truck Owners Lossing Profit due to Truck Overload Problem) । উত্তরোত্তর জ্বালানির দাম সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে । তাই মালিক পক্ষের আশঙ্কা যে, এমনটা চলতে থাকলে তাঁদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলতে আর বেশি দেরি নেই ।

অনেক সময় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মাল বোঝাই ট্রাক উল্টে পথ দুর্ঘটনা ঘটে । অতিরিক্ত মাল বোঝাই করা ট্রাকের যাতায়াতের ফলে খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, ব্রিজ ও ফ্লাইওভার । তাই লোডিং এর সমস্যাকে শক্ত হাতে দমন করাতে চড়া জরিমানা থেকে শুরু করে লোডিং পয়েন্টে পরিবহণ ও পুলিশ আধিকারিকদের সারপ্রাইজ পরিদর্শনের মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এর জেরে এই সমস্যার কিছুটা নিষ্পত্তি হলেও পুরোপুরিভাবে তা বন্ধ হয়নি । এর ফলে লাভ কমছে ছোট ও মাঝারি ট্রাক ও লরি মালিকদের ।
আরও পড়ুন : ওভারলোডিং রুখতে কড়া ব্যবস্থা পরিবহণ দফতরের

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, "প্রায় 60 থেকে 70 শতাংশ ট্রাক ও লরির ওভারলোডিং বন্ধ হলেও বড় ট্রাক ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ওভারলোডিং । এই বড় বড় সংস্থাগুলি অবৈধভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের যোগসাজশে এখনও পুরোদমেই ওভার লোডিং চালাচ্ছে । বালি খাদানগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত । খাদানগুলো থেকে জোর করে বেশি মাল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রাকে । এমনকি সরকার নির্ধারিত টাকাও নেওয়া হচ্ছে না । প্রশাসনের কিছু আধিকারিকদের মদতেই এই সব কাজ হচ্ছে ।"

যে ট্রাকের 300 টন বালি লোড (Truck Overload Issue) করার অনুমতি রয়েছে সেই ট্রাক 700 থেকে 800 টন বালি লোড করাচ্ছে । এর ফলে সেই ট্রাকগুলো অসাধুভাবে অনেক বেশি মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে ।
আরও পড়ুন : ওভারলোডিং রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে , জানালেন পরিবহণমন্ত্রী

এই বিষয়ে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "পরিবহণ মন্ত্রী বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না ওভারলোডিংয়ের সমস্যা । যেসব ব্যবসায়ীদের লরিতে বেশি মাল লোড হয়ে আসছে তাদের থেকেই মাল কেনা হচ্ছে । অন্যদিকে আমাদের কাছে কম মাল থাকছে বলে আমাদের বিক্রি পড়ে গিয়েছে । এমনিতেই করোনাকালে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে । বহু গাড়ি বসে গিয়েছে কারণ রোড ট্যাক্স ও বাকি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবীকরণ করাবার অর্থ নেই তাদের কাছে ।"

ওভারলোডিং সমস্যা ও সেফ এক্সেল লোডের প্রসঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রী ও ট্রাক মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে । এই নিয়ে আবারও পরিবহণ মন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ।

আরও পড়ুন : Bus owners meets Firhad : ফিরহাদের কাছে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন জানাল বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন

কলকাতা, 21 এপ্রিল : পরিবহণ দফতরে দায়িত্বে আসার পর ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ট্রাক ওভার লোডের সমস্যার কিছুটা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে । তবে বড় সংস্থার ক্ষেত্রে বন্ধ হয়নি এই সমস্যা । এর ফলে মার খাচ্ছে ছোট ও মাঝারি ট্রাক মালিকরা (Small Truck Owners Lossing Profit due to Truck Overload Problem) । উত্তরোত্তর জ্বালানির দাম সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে । তাই মালিক পক্ষের আশঙ্কা যে, এমনটা চলতে থাকলে তাঁদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলতে আর বেশি দেরি নেই ।

অনেক সময় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মাল বোঝাই ট্রাক উল্টে পথ দুর্ঘটনা ঘটে । অতিরিক্ত মাল বোঝাই করা ট্রাকের যাতায়াতের ফলে খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, ব্রিজ ও ফ্লাইওভার । তাই লোডিং এর সমস্যাকে শক্ত হাতে দমন করাতে চড়া জরিমানা থেকে শুরু করে লোডিং পয়েন্টে পরিবহণ ও পুলিশ আধিকারিকদের সারপ্রাইজ পরিদর্শনের মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এর জেরে এই সমস্যার কিছুটা নিষ্পত্তি হলেও পুরোপুরিভাবে তা বন্ধ হয়নি । এর ফলে লাভ কমছে ছোট ও মাঝারি ট্রাক ও লরি মালিকদের ।
আরও পড়ুন : ওভারলোডিং রুখতে কড়া ব্যবস্থা পরিবহণ দফতরের

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, "প্রায় 60 থেকে 70 শতাংশ ট্রাক ও লরির ওভারলোডিং বন্ধ হলেও বড় ট্রাক ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ওভারলোডিং । এই বড় বড় সংস্থাগুলি অবৈধভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের যোগসাজশে এখনও পুরোদমেই ওভার লোডিং চালাচ্ছে । বালি খাদানগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত । খাদানগুলো থেকে জোর করে বেশি মাল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রাকে । এমনকি সরকার নির্ধারিত টাকাও নেওয়া হচ্ছে না । প্রশাসনের কিছু আধিকারিকদের মদতেই এই সব কাজ হচ্ছে ।"

যে ট্রাকের 300 টন বালি লোড (Truck Overload Issue) করার অনুমতি রয়েছে সেই ট্রাক 700 থেকে 800 টন বালি লোড করাচ্ছে । এর ফলে সেই ট্রাকগুলো অসাধুভাবে অনেক বেশি মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে ।
আরও পড়ুন : ওভারলোডিং রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে , জানালেন পরিবহণমন্ত্রী

এই বিষয়ে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "পরিবহণ মন্ত্রী বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না ওভারলোডিংয়ের সমস্যা । যেসব ব্যবসায়ীদের লরিতে বেশি মাল লোড হয়ে আসছে তাদের থেকেই মাল কেনা হচ্ছে । অন্যদিকে আমাদের কাছে কম মাল থাকছে বলে আমাদের বিক্রি পড়ে গিয়েছে । এমনিতেই করোনাকালে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে । বহু গাড়ি বসে গিয়েছে কারণ রোড ট্যাক্স ও বাকি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবীকরণ করাবার অর্থ নেই তাদের কাছে ।"

ওভারলোডিং সমস্যা ও সেফ এক্সেল লোডের প্রসঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রী ও ট্রাক মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে । এই নিয়ে আবারও পরিবহণ মন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ।

আরও পড়ুন : Bus owners meets Firhad : ফিরহাদের কাছে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন জানাল বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.