ETV Bharat / state

Kolkata Slum Crisis: লাল ফিতের সুতোয় বাঁধা ভাগ্য, চরম দুর্দশায় বাসন্তী কলোনি বস্তির বাসিন্দারা - বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার

স্থানীয় কাউন্সিলর বোরো অফিসের দিকে ঠেলছেন ৷ আর মেয়র পারিষদ কেন্দ্রীয় সরকারে জিএসটিকে দায়ী করছেন ৷ এদিকে দিনের পর দিন দরজা ছাড়া শৌচালয় ব্যবহার করতে হচ্ছে মহিলা, পুরুষ সবাইকে (Toilet without door in Kolkata Slum) ৷

Kolkata Basti
ETV
author img

By

Published : Dec 13, 2022, 12:55 PM IST

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ জুড়ে বড় বড় বস্তি এলাকার মধ্যে অন্যতম বড় বস্তি বাসন্তী কলোনি ৷ আর সেখানে কোথাও শৌচালয়ের দরজার অর্ধেক নেই, কোথাও আবার গোটা দরজাটাই উধাও ৷ কোথাও বহুদিন ধরে পিচ উঠে রাস্তা খানাখন্দ হয়ে আছে ৷ দীর্ঘ সময় ধরে এমন বেহাল দশা গোটা উল্টোডাঙা রেলস্টেশন লাগোয়া বাসন্তী কলোনির ৷ টেন্ডার করা থেকে শুরু করে ওয়ার্ক অর্ডার নানা নিয়মে আটকে আছে বস্তি উন্নয়নের ফাইল ৷ আর তার জেরেই প্রতিদিনই দুর্ভোগে কলোনিবাসী (Basanti Colony Slum Dwellers in Kolkata facing problem) ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুষ-মহিলা সবাই তাঁদের আব্রু রক্ষায় শৌচালয় নিয়ে অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে । কোথাও আলো থাকলেও অনেক জায়গায় বহুদিন ধরে আলো খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ বেশ ক'টি রাস্তায় পিচ উঠে গিয়েছে, তাও মেরামত আর করা হয়নি ৷ এক বাসিন্দা জানান, শৌচালয়ের দরজা নেই, তাই কাপড় টাঙিয়ে শৌচালয় ব্যবহার করতে হয় ৷ এতে খুব অসুবিধে হয় ৷ আরেক বাসিন্দার অভিযোগ, দরজা না-থাকায় মহিলারা স্নান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন ৷ এই কলোনির ভিতরের রাস্তা মেরামত করা হয় না ৷ স্থানীয় কাউন্সিলারের অফিসে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেছেন ৷

আরও পড়ুন: ধারাভি বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাত জিতে নিল আদানি গোষ্ঠী

তবে সমস্যা যে হচ্ছে, সেটা মেনে নিয়েছেন 32 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু ৷ তিনি জানান, পুজোর আগে থেকে টাকা বরাদ্দ হয়ে রয়েছে ৷ কিন্তু ফাইলের গেড়োয় তা আটকে ৷ বেশ ক'টি দরজা লাগানো হয়েছে ৷ বাকিগুলি কবে হবে, তার উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি কাউন্সিলার ৷ তিনি আরও জানালেন, বহুবার বোরো এগজিকিউটিভ অফিসারকে জানালেও তিনি টেন্ডার সমস্যার অজুহাত দেখাচ্ছেন ৷ নাগরিকরা দু-একদিন ছাড়া ছাড়াই অভিযোগ করছেন ৷ তিনি বলেন, "এই ধরনের সমস্যায় কাজ না-হলে স্বাভাবিকভাবে সেটা খারাপ লাগে ৷"

বিষয়টি শুধু বাসন্তী কলোনি নয়, গোটা কলকাতায় কমবেশি ছোট বড় বস্তির পরিষেবায় এখন এমন দুর্দশা ৷ এই দুর্ভোগের কথা জানেন খোদ কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ৷ তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আচমকা জিএসটি 12 শতাংশ থেকে 18 শতাংশ করে দিয়েছে ৷ সেই কারণে পুরনো যে ফাইল টেন্ডারে গিয়েছিল, সেগুলি বাতিল করে নতুন ফাইল করতে হয়েছে ৷ তাতেই বস্তিবাসীর সমস্যার সমাধানে দেরি হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: পঞ্চমীতেই পাকা ঘর পাচ্ছে হাজার বস্তির 200 পরিবার

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ জুড়ে বড় বড় বস্তি এলাকার মধ্যে অন্যতম বড় বস্তি বাসন্তী কলোনি ৷ আর সেখানে কোথাও শৌচালয়ের দরজার অর্ধেক নেই, কোথাও আবার গোটা দরজাটাই উধাও ৷ কোথাও বহুদিন ধরে পিচ উঠে রাস্তা খানাখন্দ হয়ে আছে ৷ দীর্ঘ সময় ধরে এমন বেহাল দশা গোটা উল্টোডাঙা রেলস্টেশন লাগোয়া বাসন্তী কলোনির ৷ টেন্ডার করা থেকে শুরু করে ওয়ার্ক অর্ডার নানা নিয়মে আটকে আছে বস্তি উন্নয়নের ফাইল ৷ আর তার জেরেই প্রতিদিনই দুর্ভোগে কলোনিবাসী (Basanti Colony Slum Dwellers in Kolkata facing problem) ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুষ-মহিলা সবাই তাঁদের আব্রু রক্ষায় শৌচালয় নিয়ে অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে । কোথাও আলো থাকলেও অনেক জায়গায় বহুদিন ধরে আলো খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ বেশ ক'টি রাস্তায় পিচ উঠে গিয়েছে, তাও মেরামত আর করা হয়নি ৷ এক বাসিন্দা জানান, শৌচালয়ের দরজা নেই, তাই কাপড় টাঙিয়ে শৌচালয় ব্যবহার করতে হয় ৷ এতে খুব অসুবিধে হয় ৷ আরেক বাসিন্দার অভিযোগ, দরজা না-থাকায় মহিলারা স্নান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন ৷ এই কলোনির ভিতরের রাস্তা মেরামত করা হয় না ৷ স্থানীয় কাউন্সিলারের অফিসে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেছেন ৷

আরও পড়ুন: ধারাভি বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাত জিতে নিল আদানি গোষ্ঠী

তবে সমস্যা যে হচ্ছে, সেটা মেনে নিয়েছেন 32 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু ৷ তিনি জানান, পুজোর আগে থেকে টাকা বরাদ্দ হয়ে রয়েছে ৷ কিন্তু ফাইলের গেড়োয় তা আটকে ৷ বেশ ক'টি দরজা লাগানো হয়েছে ৷ বাকিগুলি কবে হবে, তার উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি কাউন্সিলার ৷ তিনি আরও জানালেন, বহুবার বোরো এগজিকিউটিভ অফিসারকে জানালেও তিনি টেন্ডার সমস্যার অজুহাত দেখাচ্ছেন ৷ নাগরিকরা দু-একদিন ছাড়া ছাড়াই অভিযোগ করছেন ৷ তিনি বলেন, "এই ধরনের সমস্যায় কাজ না-হলে স্বাভাবিকভাবে সেটা খারাপ লাগে ৷"

বিষয়টি শুধু বাসন্তী কলোনি নয়, গোটা কলকাতায় কমবেশি ছোট বড় বস্তির পরিষেবায় এখন এমন দুর্দশা ৷ এই দুর্ভোগের কথা জানেন খোদ কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ৷ তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আচমকা জিএসটি 12 শতাংশ থেকে 18 শতাংশ করে দিয়েছে ৷ সেই কারণে পুরনো যে ফাইল টেন্ডারে গিয়েছিল, সেগুলি বাতিল করে নতুন ফাইল করতে হয়েছে ৷ তাতেই বস্তিবাসীর সমস্যার সমাধানে দেরি হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: পঞ্চমীতেই পাকা ঘর পাচ্ছে হাজার বস্তির 200 পরিবার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.