কলকাতা, 28 এপ্রিল : লকডাউনে দেশের নানা প্রান্তে সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ সমাজের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন । এই পরিস্থিতিতে খাদ্য সরবরাহ ও বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের ভূমিকাকে কটাক্ষ করলেন CPI(M)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি । তিনি বলেন, "দেশের খাদ্যভাণ্ডারে মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্ৰী। কিন্তু সরকারের উদাসীনতায় সেই খাবারে পচন ধরেছে । অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা পরিবহনের মাধ্যমে দেশের সব ক'টি রাজ্যে সেই খাদ্যদ্রব্য পাঠিয়ে দিলে মানুষ অনাহার থেকে মুক্তি পেত ।"
দ্বিতীয় দফার লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। কিন্তু খাদ্য সরবররাহের ক্ষেত্রে সমগ্র দেশে গণবণ্টন ব্যবস্থা স্বচ্ছ নয় বলে, জানান সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, "এক মাস অতিক্রান্ত হয়েছে । দেশের নানা রাজ্যের মানুষের কাছে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছায়নি । অধিকাংশ জায়গায় রেশন ব্যবস্থা নিয়েও খামতি রয়েছে।" ইতিমধ্যেই একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত 5 কেজি চাল এবং এক কেজি ডাল এখনও অধিকাংশ রাজ্যে পৌঁছায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। রাজ্যের নানা জায়গায় এখনও রেশনের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মাথাপিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য না পেয়ে ডিলারের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বহু মানুষ লকডাউনে বাড়িতে থেকেও বাধ্য হয়ে লকডাউন উপেক্ষা করে কেবলমাত্র খাদ্যদ্রব্যের জন্য বাইরে বেরোচ্ছেন। রাজ্য সরকার যদি খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থা সঠিকভাবে মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করত, তাহলে লকডাউন পদ্ধতি আরও বেশি সক্রিয় হত।"
সীতারাম ইয়েচুরি আরও বলেন, "ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং আশ্রয়হীনতা দেশের কোটি কোটি মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা। সেকারণেই লকডাউন ঘোষণার পর থেকে যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁদের অবিলম্বে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া প্রয়োজন। দেশের মজুত ভান্ডারে খাদ্যদ্রব্য পচে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষের মধ্যে সেই খাবার বিনামূল্যে বিতরণ করা উচিত সরকারের ।"