কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: বছর শেষের ডিসেম্বর শুধু আনন্দই নয়, কিছুটা ভয়েও থাকে স্কুল পড়ুয়ারা। সারা বছরের পড়াশোনার হিসেব তোলা থাকে বর্ষশেষেই ৷ বার্ষিক পরীক্ষা এবং তারপর ফলপ্রকাশ নিয়ে পড়ুয়াদের পাশাপাশি চিন্তায় থাকে অভিভাবকেরাও। এছাড়াও সারা বছর লেগে থাকে বিভিন্ন ছোটখাটো পরীক্ষা, প্রজেক্ট-সহ একাধিক বিষয়। যার ফলে পড়ুয়াদের তৈরি হয় একপ্রকার মানসিক চাপ। তবে এই চাপকে কমাতেই এবার এলেন 'সান্তা'। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল প্রত্যেক বছরই বড়দিনের আগে ছাত্রদের জন্য অধ্যক্ষের মাঠে আয়োজিত হয় 'ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল'। যার অন্যথা হয়নি 193 বছরেও।
রাজ্য সরকার পোষিত এই স্কুল তৈরি করেছিলেন ড: আলেকজান্ডার ডাফ। তারপর ঐতিহ্য মেনেই 193 বছর ধরে কলকাতা শহরের বুকে অন্যতম হয়ে রয়েছে স্কটিশ চার্চ স্কুল। এই স্কুল যেহেতু চার্চের আওতায়, তাই বড়দিনের আনন্দে সেজে ওঠে স্কটিশ চার্চ। সেই পরম্পরা মেনে এবছরও ডিসেম্বর মাসের 18 ও 19 তারিখ ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল পালন করল স্কটিশ চার্চ স্কুল। পরীক্ষা প্রস্তুতির মাঝেই শুরু হয়ে যায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রস্তুতি। নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মেতে ওঠে পড়ুয়ারা। তাই এই অনুষ্ঠান শুধু আনন্দের নয়, অনেকটা আবেগেরও স্কটিশ পড়ুয়াদের কাছে।
সদ্য অষ্টম শ্রেণি পাশ করা সূর্য'র কথায়, "এই অনুষ্ঠানটাকে ঘিরে অনেকটা মজা করতে পারি। সারা মাসজুড়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকি।" তবে এই অনুষ্ঠানের জন্য শুধু ছাত্ররা নয়, অপেক্ষায় থাকেন তাদের অভিভাবকরাও। কারণ এই উৎসবে স্কটিশ চার্চ স্কুলের দরজা খোলা থাকে তাদের জন্যও। এক অভিভাবক রিমা সরকার বলেন, "সারা বছর পড়াশোনায় ওরা ব্যস্ত থাকে তারপরে বছর শেষে এই আনন্দটা খুবই দরকার। শুধু ওরা নয়, আমরাও এখানে খুব আনন্দ করি। নাচ-গান-সহ একাধিক বিষয় হয় এখানে। যেগুলো খুবই ভালো লাগে। কারণ স্কুল মানে তো শুধু পড়াশোনা নয়, তারসঙ্গে এগুলো শেখা।"
ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল উপলক্ষে শুধুমাত্র ছাত্ররা নয় মঞ্চে বিভিন্ন সম্পাদনায় মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তবে এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য কী? সে কথাই জানালেন অধ্যক্ষ বিভাগ সান্যাল। তিনি বলেন, "আমাদের মতো স্কুলগুলোতে একটু চাপ বেশি। তাই পড়ুয়াদের একটু রিলাক্সের প্রয়োজন হয়। শুধু তাই নয়, এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা ছাত্রদের, অভিভাবকদের সঙ্গেও একটা যোগাযোগ তৈরি করতে পারি।"
আরও পড়ুন: