ETV Bharat / state

খুলছে স্কুল, বিস্তারিত গাইডলাইন দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর - কোরোনা আবহে স্কুল খুলছে তার গাইডলাইন কী

রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে প্রকাশিত হল গাইডলাইন, সেখানে স্কুল খোলার আগে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে ও খোলার পরে কী করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হল । স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পোর্টাল 'বাংলার শিক্ষা'য় আপলোড করে দেওয়া হয়েছে সেই গাইডলাইনের বুকলেটটি ।

খুলছে স্কুল, বিস্তারিত গাইডলাইন দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর
খুলছে স্কুল, বিস্তারিত গাইডলাইন দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর
author img

By

Published : Feb 5, 2021, 9:51 AM IST

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি : 12 ফেব্রুয়ারি থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি । গতকাল সেই মর্মে জারি হয়ে গেছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি । কোরোনার জেনেরাল গাইডলাইনস অন রি-ওপেনিং অফ স্কুলস' শীর্ষক বুকলেটটিতে বিষয়ভিত্তিক অধ্যায় ভাগ করা হয়েছে । স্কুল খোলার আগের প্রস্তুতি কী নিতে হবে এবং স্কুল চলাকালীন কী প্রস্তুতি নিতে হবে তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী রয়েছে এই গাইডলাইনটিতে...

স্কুল খোলার আগের প্রস্তুতি :

  • স্কুল ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করতে হবে । প্রতিটি ক্লাসরুম, টিচার্স রুম, করিডর, টয়লেট, পানীয় জলের জায়গা, ব়্যাম্প এবং হ্যান্ডেল, রিসোর্স রুম, সিঁড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে । স্কুল খোলার আগে জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে হবে ।
  • জমায়েত এড়াতে স্কুলের গেটে, কমন রুমে, করিডরে, পানীয় জলের জায়গায় কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
  • সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে । একটি বেঞ্চের দুটি কোণে দুইজন ও পরের বেঞ্চের মাঝে একজন অথবা একটি বেঞ্চের এককোণে একজন ও পরের বেঞ্চে অন্য কোণে আর একজন, এই দুটি মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে ক্লাসরুমে ।
  • স্কুল খোলার আগে কোরোনা নিয়ে সচেতন করতে জায়গায় জায়গায় পোস্টার, ব্যানার, ওয়াল পেন্টিং রাখতে হবে ।
  • মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক তা জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নোটিস জারি করতে হবে ।
  • পড়ুয়ার জ্বর, সর্দি বা অন্য কোনও অসুখ হলে তাকে স্কুলে না পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হবে । সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে অন্তত 7দিন ঘরে থাকতে হবে ।
  • স্কুলে একটি আইসোলেশন রুম চিহ্নিত করে রাখতে হবে । যেখানে একটি বেড থাকবে । যাতে স্কুল চলাকালীন কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সেখানে রাখা যায় ।
  • স্কুল চলাকালীন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার কেয়ার কীভাবে করতে হবে সেব্যাপারে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সঠিকভাবে জানতে হবে ।
  • সব কম্পিউটার, ল্যাবের যন্ত্র, লাইব্রেরির বই, রিসোর্স রুমের জিনিসপত্র নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জীবাণুমুক্ত করতে হবে ।
  • এমার্জেন্সিতে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি নম্বরের ডাইরেক্টরি তৈরি করতে হবে ।
  • কন্টেনমেন্ট জ়োনের পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে না ।

আরও পড়ুন : বাড়ল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাড-হক কমিটির মেয়াদ

স্কুল চলাকালীন সময়ের জন্য প্রস্তুতি :

  • স্কুলে ঢোকা ও বেরোনোর সময় জমায়েত সম্পূর্ণভাবে এড়াতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মানতে হবে । গেটে নিয়ম এবং বিধির কপি এমনভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে যাতে বাইরে থেকেই পড়ুয়া ও অভিভাবকরা তা দেখতে পায় । কোনও ভিজ়িটর বা অভিভাবককে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না ।
  • প্রার্থনার জন্য কোনও জমায়েত হবে না । ক্লাসে বসে ক্লাস টিচারের তত্ত্বাবধানে হবে প্রার্থনা ।
  • পড়ুয়াদের স্কুল চত্বরে নিজেদের ও অন্যান্য সকলের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলা হবে ।
  • পড়ুয়াদের যত্রতত্র থুতু না ফেলতে বলা হবে এবং একে অপরের বই, খাতা, ব্যাগ, টিফিন ছুতে বারণ করা হবে । টিফিন ভাগ করে খাওয়া ও জলের বোতল শেয়ার করা কঠোরভাবে নিষেধ করতে হবে ।
  • প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে কোভিড প্রোটোকল ও তার পিছনের কারণ নিয়ে 10 মিনিটের সচেতনতার ক্লাস করাতে হবে ।
  • প্রতি পড়ুয়াকে মাস্ক পরে ও নিজের জলের বোতল নিয়ে আসতে হবে ।
  • ক্লাসে ঢোকার আগেই পড়ুয়াদের তাপমাত্রা মাপা বাঞ্চনীয় । কারোর জ্বর বা সর্দি রয়েছে দেখা দিলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
  • স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীকে মাস্ক পরতে হবে ।
  • ক্লাসে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে এক বা একাধিক হেল্থ অ্যান্ড হাইজ়িন মনিটর রাখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ।
  • গ্রুপ অ্যাক্টিভিটিস যেমন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখা হবে । ক্লাসরুমে কোভিডের প্রোটোকলের উপর স্লোগান লেখা বা ক্যুইজের মতো সেশন করা যেতে পারে ।

মূলত, সবদিক থেকেই স্বাস্থ্যবিধি যাতে রক্ষা করা হয় সেদিকে নজর রেখেই গাইডলাইন তৈরি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । এই গাইডলাইনে জেলা পরিদর্শক থেকে শুরু করে পড়ুয়া পর্যন্ত স্কুলের প্রতিটি অংশীদারের জন্য দেওয়া হয়েছে চেকলিস্ট । এই চেকলিস্টের মাধ্যমেই গাইডলাইনের সবকিছু অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কি না তা নিজেরাই দেখে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা । সঙ্গে কোরোনা সচেতনতায় বিভিন্ন পোস্টারও দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি : 12 ফেব্রুয়ারি থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি । গতকাল সেই মর্মে জারি হয়ে গেছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি । কোরোনার জেনেরাল গাইডলাইনস অন রি-ওপেনিং অফ স্কুলস' শীর্ষক বুকলেটটিতে বিষয়ভিত্তিক অধ্যায় ভাগ করা হয়েছে । স্কুল খোলার আগের প্রস্তুতি কী নিতে হবে এবং স্কুল চলাকালীন কী প্রস্তুতি নিতে হবে তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী রয়েছে এই গাইডলাইনটিতে...

স্কুল খোলার আগের প্রস্তুতি :

  • স্কুল ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করতে হবে । প্রতিটি ক্লাসরুম, টিচার্স রুম, করিডর, টয়লেট, পানীয় জলের জায়গা, ব়্যাম্প এবং হ্যান্ডেল, রিসোর্স রুম, সিঁড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে । স্কুল খোলার আগে জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে হবে ।
  • জমায়েত এড়াতে স্কুলের গেটে, কমন রুমে, করিডরে, পানীয় জলের জায়গায় কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
  • সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে । একটি বেঞ্চের দুটি কোণে দুইজন ও পরের বেঞ্চের মাঝে একজন অথবা একটি বেঞ্চের এককোণে একজন ও পরের বেঞ্চে অন্য কোণে আর একজন, এই দুটি মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে ক্লাসরুমে ।
  • স্কুল খোলার আগে কোরোনা নিয়ে সচেতন করতে জায়গায় জায়গায় পোস্টার, ব্যানার, ওয়াল পেন্টিং রাখতে হবে ।
  • মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক তা জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নোটিস জারি করতে হবে ।
  • পড়ুয়ার জ্বর, সর্দি বা অন্য কোনও অসুখ হলে তাকে স্কুলে না পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হবে । সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে অন্তত 7দিন ঘরে থাকতে হবে ।
  • স্কুলে একটি আইসোলেশন রুম চিহ্নিত করে রাখতে হবে । যেখানে একটি বেড থাকবে । যাতে স্কুল চলাকালীন কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সেখানে রাখা যায় ।
  • স্কুল চলাকালীন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার কেয়ার কীভাবে করতে হবে সেব্যাপারে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সঠিকভাবে জানতে হবে ।
  • সব কম্পিউটার, ল্যাবের যন্ত্র, লাইব্রেরির বই, রিসোর্স রুমের জিনিসপত্র নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জীবাণুমুক্ত করতে হবে ।
  • এমার্জেন্সিতে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি নম্বরের ডাইরেক্টরি তৈরি করতে হবে ।
  • কন্টেনমেন্ট জ়োনের পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে না ।

আরও পড়ুন : বাড়ল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাড-হক কমিটির মেয়াদ

স্কুল চলাকালীন সময়ের জন্য প্রস্তুতি :

  • স্কুলে ঢোকা ও বেরোনোর সময় জমায়েত সম্পূর্ণভাবে এড়াতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মানতে হবে । গেটে নিয়ম এবং বিধির কপি এমনভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে যাতে বাইরে থেকেই পড়ুয়া ও অভিভাবকরা তা দেখতে পায় । কোনও ভিজ়িটর বা অভিভাবককে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না ।
  • প্রার্থনার জন্য কোনও জমায়েত হবে না । ক্লাসে বসে ক্লাস টিচারের তত্ত্বাবধানে হবে প্রার্থনা ।
  • পড়ুয়াদের স্কুল চত্বরে নিজেদের ও অন্যান্য সকলের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলা হবে ।
  • পড়ুয়াদের যত্রতত্র থুতু না ফেলতে বলা হবে এবং একে অপরের বই, খাতা, ব্যাগ, টিফিন ছুতে বারণ করা হবে । টিফিন ভাগ করে খাওয়া ও জলের বোতল শেয়ার করা কঠোরভাবে নিষেধ করতে হবে ।
  • প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে কোভিড প্রোটোকল ও তার পিছনের কারণ নিয়ে 10 মিনিটের সচেতনতার ক্লাস করাতে হবে ।
  • প্রতি পড়ুয়াকে মাস্ক পরে ও নিজের জলের বোতল নিয়ে আসতে হবে ।
  • ক্লাসে ঢোকার আগেই পড়ুয়াদের তাপমাত্রা মাপা বাঞ্চনীয় । কারোর জ্বর বা সর্দি রয়েছে দেখা দিলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
  • স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীকে মাস্ক পরতে হবে ।
  • ক্লাসে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে এক বা একাধিক হেল্থ অ্যান্ড হাইজ়িন মনিটর রাখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ।
  • গ্রুপ অ্যাক্টিভিটিস যেমন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখা হবে । ক্লাসরুমে কোভিডের প্রোটোকলের উপর স্লোগান লেখা বা ক্যুইজের মতো সেশন করা যেতে পারে ।

মূলত, সবদিক থেকেই স্বাস্থ্যবিধি যাতে রক্ষা করা হয় সেদিকে নজর রেখেই গাইডলাইন তৈরি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । এই গাইডলাইনে জেলা পরিদর্শক থেকে শুরু করে পড়ুয়া পর্যন্ত স্কুলের প্রতিটি অংশীদারের জন্য দেওয়া হয়েছে চেকলিস্ট । এই চেকলিস্টের মাধ্যমেই গাইডলাইনের সবকিছু অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কি না তা নিজেরাই দেখে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা । সঙ্গে কোরোনা সচেতনতায় বিভিন্ন পোস্টারও দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.