ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: গ্রাম বাংলার দায়িত্ব থাকবে কার হাতে, শনিবার সকাল থেকে ব্যালটে বন্দি হবে জনতার রায় - কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা ৷ তার পরও বাংলাজুড়ে শুরু হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৷ অশান্তির ট্র্যাডিশন উড়িয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের ছবি কি দেখা যাবে ? উত্তরের অপেক্ষায় সারা বাংলা ৷

Panchayat Elections 2023
Panchayat Elections 2023
author img

By

Published : Jul 7, 2023, 8:24 PM IST

কলকাতা, 7 জুলাই: কার দখলে থাকবে গ্রাম বাংলা ? এই প্রশ্নের উত্তর আগামিকাল শনিবার সকাল থেকে ব্যালট বাক্সে বন্দি হতে শুরু করবে ৷ বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার জনতার রায় দেওয়ার প্রক্রিয়া ৷ কিন্তু গত একমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে, তাতে ভোটপর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না কারও ৷ তাই আগামিকাল সকাল থেকে সকলের নজর থেকে গ্রামীণ বঙ্গের দিকে ৷

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন: গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ - এই তিনটি স্তরে ভোট দিতে ভোটারদের ৷ ভোট হবে ব্যালটে ৷ লোকসভা বা বিধানসভার মতো থাকছে না ইভিএম ৷ তাই ভোটগ্রহণ থেকে ভোটদান পুরো প্রক্রিয়াই বেশ জটিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই বুথে বুথে সকাল থেকে লম্বা লাইন থাকবে ৷ সারা রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ভোট দু’টি স্তরেই হয় ৷ সেখানে আবার 22 বছর পর এই ভোট হতে চলেছে ৷

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের 22টি জেলায় 61 হাজার 636টি বুথ রয়েছে ৷ এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা 4834 ৷ শতাংশের হিসেবে 7.84 ৷ ফলে এই বুথগুলির দিকেই বেশি নজর থাকবে সকলের ৷ সেখানে কিছু ঘটছে কি না, সেই দিকে যেমন বঙ্গবাসীর নজর থাকবে, তেমনই প্রশাসনই গোলমাল ছাড়াই ওই বুথগুলিতে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে তৎপর হবে ৷

কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এবার মোট ভোটারের সংখ্যা 5 কোটি 66 লক্ষ 74 হাজার 566 ৷ এর মধ্য়ে পুরুষ ভোটার 2 কোটি 88 লক্ষ 78 হাজার 995 ৷ মহিলা ভোটার রয়েছেন 2 কোটি 77 লক্ষ 94 হাজার 452 ৷ অন্যান্য 1119 ৷

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিল কমিশন

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা: রাজ্য পুলিশ এবং ভিন রাজ্য থেকে আনা পুলিশের মাধ্যমেই এবার পঞ্চায়েত ভোট সারতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু আদালতের রায়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকছে ভোটের নিরাপত্তায় ৷ প্রথমে 22 কোম্পানি ও পরে 800 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দফায় দফায় বাহিনী দেওয়া হচ্ছে রাজ্যকে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী বাহিনী এখনও এসে পৌঁছায়নি ৷

এতদিনে যাঁরা এসে পৌঁছেছিলেন, সেই সব জওয়ানদের দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় টহল দেওয়ানোর কাজ হয়েছে ৷ শুক্রবারও দফায় দফায় বাহিনী এসে পৌঁছেছে বঙ্গে ৷ লেহ থেকে আইটিবিপি-র জওয়ানদের এয়ারলিফট করে আনা হয়েছে এখানে ৷ ফলে আগামিকাল নির্বাচন কমিশন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে, সেই দিকেও নজর থাকবে সকলের৷

আরও পড়ুন: ভোটের আগের দিন মুর্শিদাবাদে পিটিয়ে খুন কংগ্রেস কর্মীকে

ভাঙড় থেকে দিনহাটা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী থেকে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা, কোচবিহারের দিনহাটা-সহ আশপাশের এলাকায় বারবার অশান্তি হয়েছে ৷ রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে একাধিক ৷ ফলে ওই এলাকাগুলিতেই আগামিকাল সকলের নজর থাকবে, সেখানে ঠিক কী কী হয়, শান্তিপূর্ণ ভোট হয় নাকি রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটাও দেখার !

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে বিভিন্ন ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহত হয়েছেন 523 জন ৷ বিভিন্ন ধরনের অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে 17 হাজার 285 জনকে ৷ যদিও বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা 18 ৷

তবে পরিস্থিতি যা, তাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাই এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ দিনভর অশান্তি এড়িয়ে রক্তপাতহীন ভোট কি দেখবে পশ্চিমবঙ্গ ? উত্তর পেতে আগামিকালের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ৷

আরও পড়ুন: প্রতি বুথে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাফ সেকশন জওয়ান, কমিশনকে প্রস্তাব বিএসএফের

কলকাতা, 7 জুলাই: কার দখলে থাকবে গ্রাম বাংলা ? এই প্রশ্নের উত্তর আগামিকাল শনিবার সকাল থেকে ব্যালট বাক্সে বন্দি হতে শুরু করবে ৷ বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার জনতার রায় দেওয়ার প্রক্রিয়া ৷ কিন্তু গত একমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে, তাতে ভোটপর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না কারও ৷ তাই আগামিকাল সকাল থেকে সকলের নজর থেকে গ্রামীণ বঙ্গের দিকে ৷

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন: গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ - এই তিনটি স্তরে ভোট দিতে ভোটারদের ৷ ভোট হবে ব্যালটে ৷ লোকসভা বা বিধানসভার মতো থাকছে না ইভিএম ৷ তাই ভোটগ্রহণ থেকে ভোটদান পুরো প্রক্রিয়াই বেশ জটিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই বুথে বুথে সকাল থেকে লম্বা লাইন থাকবে ৷ সারা রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ভোট দু’টি স্তরেই হয় ৷ সেখানে আবার 22 বছর পর এই ভোট হতে চলেছে ৷

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের 22টি জেলায় 61 হাজার 636টি বুথ রয়েছে ৷ এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা 4834 ৷ শতাংশের হিসেবে 7.84 ৷ ফলে এই বুথগুলির দিকেই বেশি নজর থাকবে সকলের ৷ সেখানে কিছু ঘটছে কি না, সেই দিকে যেমন বঙ্গবাসীর নজর থাকবে, তেমনই প্রশাসনই গোলমাল ছাড়াই ওই বুথগুলিতে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে তৎপর হবে ৷

কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এবার মোট ভোটারের সংখ্যা 5 কোটি 66 লক্ষ 74 হাজার 566 ৷ এর মধ্য়ে পুরুষ ভোটার 2 কোটি 88 লক্ষ 78 হাজার 995 ৷ মহিলা ভোটার রয়েছেন 2 কোটি 77 লক্ষ 94 হাজার 452 ৷ অন্যান্য 1119 ৷

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিল কমিশন

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা: রাজ্য পুলিশ এবং ভিন রাজ্য থেকে আনা পুলিশের মাধ্যমেই এবার পঞ্চায়েত ভোট সারতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু আদালতের রায়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকছে ভোটের নিরাপত্তায় ৷ প্রথমে 22 কোম্পানি ও পরে 800 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দফায় দফায় বাহিনী দেওয়া হচ্ছে রাজ্যকে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী বাহিনী এখনও এসে পৌঁছায়নি ৷

এতদিনে যাঁরা এসে পৌঁছেছিলেন, সেই সব জওয়ানদের দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় টহল দেওয়ানোর কাজ হয়েছে ৷ শুক্রবারও দফায় দফায় বাহিনী এসে পৌঁছেছে বঙ্গে ৷ লেহ থেকে আইটিবিপি-র জওয়ানদের এয়ারলিফট করে আনা হয়েছে এখানে ৷ ফলে আগামিকাল নির্বাচন কমিশন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে, সেই দিকেও নজর থাকবে সকলের৷

আরও পড়ুন: ভোটের আগের দিন মুর্শিদাবাদে পিটিয়ে খুন কংগ্রেস কর্মীকে

ভাঙড় থেকে দিনহাটা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী থেকে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা, কোচবিহারের দিনহাটা-সহ আশপাশের এলাকায় বারবার অশান্তি হয়েছে ৷ রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে একাধিক ৷ ফলে ওই এলাকাগুলিতেই আগামিকাল সকলের নজর থাকবে, সেখানে ঠিক কী কী হয়, শান্তিপূর্ণ ভোট হয় নাকি রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটাও দেখার !

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে বিভিন্ন ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহত হয়েছেন 523 জন ৷ বিভিন্ন ধরনের অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে 17 হাজার 285 জনকে ৷ যদিও বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা 18 ৷

তবে পরিস্থিতি যা, তাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাই এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ দিনভর অশান্তি এড়িয়ে রক্তপাতহীন ভোট কি দেখবে পশ্চিমবঙ্গ ? উত্তর পেতে আগামিকালের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ৷

আরও পড়ুন: প্রতি বুথে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাফ সেকশন জওয়ান, কমিশনকে প্রস্তাব বিএসএফের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.